শীতের রাতে পাখা চালানোয় ছাত্রদের পেটানোর অভিযোগ উঠল হস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে। পরে ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে অভিযুক্ত ওয়ার্ডেনকে সরাতে বাধ্য হলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়ার মধুবন গোয়েঙ্কা হাইস্কুলের ঘটনা।
হস্টেল সূত্রের খবর, বুধবার রাতে ১৫ নম্বর ঘরে থাকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্নেহাশিস কর পায়ে চোট পায়। স্নেহাশিসের সহপাঠীরা তার পায়ে জল দিয়ে তাকে প্রাথমিক ভাবে সুস্থ করবার চেষ্টা করে। সেই সময় হস্টেলের পাখাটি চালানো হয়। পরে পাখা চালানো হয়েছে জানতে পারেন ওই হস্টেলের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন। বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেলের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন তথা ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হরিপদ প্রধান ১৫ নম্বর রুমে থাকা ১৬ জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকেই লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন বলে অভিযোগ।
এরপরেই এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং হরিপদবাবুকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলে একযোগে আন্দোলনে সামিল হয় হস্টেলের কয়েকশো ছাত্র। ছাত্রদের অভিভাবকেরাও অনেকে ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হন। ছাত্রদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে এসইউসি-র ছাত্রসংগঠন ডিএসও-র কর্মীরাও ছাত্রদের পক্ষে গলা ফাটান। স্কুল চত্বরে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁরাও ধর্নায় বসে দাবি জানাতে থাকেন। এ দিন দুপুরে মারধরে আহত ছাত্রদের প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় আঁচুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। স্নেহাশিসের সঙ্গে একই ঘরে থাকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পবিত্র মণ্ডল, লোকেশ মণ্ডলরা বলে, “আমাদের বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলেই আমরা পাখা চালিয়ে ছিলাম। কিন্তু তার জন্য যে ভাবে আমাদের পেটানো হল তা অন্যায়। মার খেয়ে হাতে পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে।” ছাত্রদের ক্ষোভ দেখে এ দিন দুপুরেই ওই কর্মীকে পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখেন্দুবিকাশ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ছাত্রদের উপরে নির্যাতনের ঘটনাকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। হরিপদবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তাই হস্টেলের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরানো হল।”
হরিপদবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, “শীতের রাতে অহেতুক পাখা চালানোয় ছাত্রদের আমি শাসন করেছি মাত্র। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঘটনাটিকে আমার বিরুদ্ধে বড় করে দেখানো হল।” অন্যদিকে ছাত্রদের পক্ষে প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় স্থানীয় একশ্রেণির লোকজন তাঁদের হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ডিএসও-এর জেলা সম্পাদক সাবিরুদ্দিন ভুঁইয়া। যদিও এ নিয়ে থানায় লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ তাঁদের তরফে করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy