জেলার টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। —ফাইল চিত্র।
বাতাসে শীতের আমেজ। তবে বাজার-হাটের চড়া দামের আঁচ কমেনি এতটুকু। রবিবারের বাজার করতে গিয়ে রীতিমতো হাত পুড়ল মধ্যবিত্তের। জেলা শহর থেকে মহকুমা-সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের দাবি, দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত আনাজের দর চড়া থাকলেও প্রত্যেক বার শীতের আনাজ উঠলে দাম খানিকটা নাগালে আসে। তবে এ বার আলু-পেঁয়াজ থেকে শীতের আনাজ, কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী আলু-পেঁয়াজ-সহ অন্য আনাজের চড়া দর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বাস্তবে জেলার টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
পুরুলিয়া শহর থেকে রঘুনাথপুর বা ঝালদা, সর্বত্রই এ দিন আলুর দর ছিল ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা। শীতের সবজিগুলির দর ৫০-১২০র মধ্যে। ও দিকে মহার্ঘ হয়ে উঠছে রসুন, বিকোচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মাছ-মাংস বাদ দিয়ে তিনশো টাকার আনাজেও থলে ভরছে না। আলু তো ৩০ টাকার নীচে নামছেই না। শীতের আনাজের দর এখনও যথেষ্ট চড়া।”
ঝালদা পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারের ব্যবসায়ী দিবাকর কুইরি জানান, অন্য বার নতুন আলু ওঠার পরে দর নামে। এখনও নতুন আলু ওঠেনি। ঝালদা স্টেশন বাজারের বাসিন্দা যোগেশ্বর কুইরির প্রশ্ন, “বাজারদর কমাতে টাস্ক ফোর্স কোথায়?” পুরুলিয়া শহরে শুভাশিস সরকারের টিপ্পনী, “আনাজের দাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত উদ্বিগ্ন। অথচ জেলায় তার প্রতিফলন দেখি না।” সমস্যা মেনে জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ টাস্কফোর্স নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছেন তা যথার্থ।” তবে জেলা কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক জানান, শীঘ্র বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া হবে।
বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর শহরের পাশাপাশি বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়রের বাজারগুলিতেও বাজারদর বেশ চড়া। বাঁকুড়া শহরের অরূপ মণ্ডল বলেন, “বাধ্য হয়ে কম জিনিস কিনতে হচ্ছে।” সোনামুখীর অণিমা সরকারের আক্ষেপ, “পাতে ভাজা, দু’রকম তরকারি আর দেওয়া যাচ্ছে না। ”
তবে বড়জোড়ার এক আনাজ বিক্রেতার দাবি, পুজোর আগে-পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে শীতের আনাজ অনেক নষ্ট হয়েছে। জোগান কম থাকায় দাম বেশি। যদিও ওই যুক্তি মানছেন না ক্রেতাদের একাংশ। বিষ্ণুপুরের বিদ্যুৎ দাস বলেন, “বাজারে আমদানি তো ভালই রয়েছে।” হতাশা নিয়ে বড়জোড়ার দিনমজুর রবি বাগদি জানান, এমন বাজার-দরে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অন্ন জোগাড় দায় হয়ে উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy