E-Paper

আনাজের চড়া দাম, শীতেও আগুন বাজার 

পুরুলিয়া শহর থেকে রঘুনাথপুর বা ঝালদা, সর্বত্রই এ দিন আলুর দর ছিল ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা। শীতের সবজিগুলির দর ৫০-১২০র মধ্যে। ও দিকে মহার্ঘ হয়ে উঠছে রসুন, বিকোচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়।

জেলার টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

জেলার টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৫
Share
Save

বাতাসে শীতের আমেজ। তবে বাজার-হাটের চড়া দামের আঁচ কমেনি এতটুকু। রবিবারের বাজার করতে গিয়ে রীতিমতো হাত পুড়ল মধ্যবিত্তের। জেলা শহর থেকে মহকুমা-সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের দাবি, দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত আনাজের দর চড়া থাকলেও প্রত্যেক বার শীতের আনাজ উঠলে দাম খানিকটা নাগালে আসে। তবে এ বার আলু-পেঁয়াজ থেকে শীতের আনাজ, কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী আলু-পেঁয়াজ-সহ অন্য আনাজের চড়া দর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বাস্তবে জেলার টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

পুরুলিয়া শহর থেকে রঘুনাথপুর বা ঝালদা, সর্বত্রই এ দিন আলুর দর ছিল ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা। শীতের সবজিগুলির দর ৫০-১২০র মধ্যে। ও দিকে মহার্ঘ হয়ে উঠছে রসুন, বিকোচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মাছ-মাংস বাদ দিয়ে তিনশো টাকার আনাজেও থলে ভরছে না। আলু তো ৩০ টাকার নীচে নামছেই না। শীতের আনাজের দর এখনও যথেষ্ট চড়া।”

ঝালদা পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারের ব্যবসায়ী দিবাকর কুইরি জানান, অন্য বার নতুন আলু ওঠার পরে দর নামে। এখনও নতুন আলু ওঠেনি। ঝালদা স্টেশন বাজারের বাসিন্দা যোগেশ্বর কুইরির প্রশ্ন, “বাজারদর কমাতে টাস্ক ফোর্স কোথায়?” পুরুলিয়া শহরে শুভাশিস সরকারের টিপ্পনী, “আনাজের দাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত উদ্বিগ্ন। অথচ জেলায় তার প্রতিফলন দেখি না।” সমস্যা মেনে জেলা পরিষদের কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ টাস্কফোর্স নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছেন তা যথার্থ।” তবে জেলা কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক জানান, শীঘ্র বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া হবে।

বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর শহরের পাশাপাশি বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়রের বাজারগুলিতেও বাজারদর বেশ চড়া। বাঁকুড়া শহরের অরূপ মণ্ডল বলেন, “বাধ্য হয়ে কম জিনিস কিনতে হচ্ছে।” সোনামুখীর অণিমা সরকারের আক্ষেপ, “পাতে ভাজা, দু’রকম তরকারি আর দেওয়া যাচ্ছে না। ”

তবে বড়জোড়ার এক আনাজ বিক্রেতার দাবি, পুজোর আগে-পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে শীতের আনাজ অনেক নষ্ট হয়েছে। জোগান কম থাকায় দাম বেশি। যদিও ওই যুক্তি মানছেন না ক্রেতাদের একাংশ। বিষ্ণুপুরের বিদ্যুৎ দাস বলেন, “বাজারে আমদানি তো ভালই রয়েছে।” হতাশা নিয়ে বড়জোড়ার দিনমজুর রবি বাগদি জানান, এমন বাজার-দরে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অন্ন জোগাড় দায় হয়ে উঠছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Vegetables Winter market price

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।