ছাত্রী আবাসের অব্যবস্থা নিয়ে সুপারিন্টেডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ হেনস্থার অভিযোগ তুললেন হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রাইপুরের প্রীতিলতা কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসে শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আশা মণ্ডল নামে রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির ওই কর্মাধ্যক্ষকে ছাত্রী আবাসের মধ্যেই প্রায় আধঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দুপুর ২টা নাগাদ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ওই কর্মাধ্যক্ষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে পুলিশের কাছে তিনি ছাত্রী আবাসের সুপারিন্টেডেন্ট তাপসী দে-র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আশাদেবী তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ রাইপুর ব্লক অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত ওই কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসে তিনি যান। তাঁর দাবি, ওই ছাত্রী আবাসে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা অব্যবস্থা চলছে বলে তাঁর কাছে খবর আসছিল। সুপারিন্টেডেন্ট প্রায়দিনই সেখানে থাকেন না বলে শুনেছিলেন। তাই সুপারের সঙ্গে কথা বলতে এ দিন দুপুরে তিনি ছাত্রী আবাসে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “সুপার এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোন কথা তো বলেননি, উল্টে হস্টেলের মধ্যেই আমার উপরে চড়াও হন। আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে হস্টেলের একটি ঘরে জবরদস্তি আটকে রাখেন।” হস্টেলের মধ্যে কর্মাধ্যক্ষকে আটকে রাখার খবর এলাকায় চাউর হয়ে যায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা হস্টেলের সামনে ভিড় করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ভিড় হটিয়ে কর্মাধ্যক্ষকে হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়। বারবার ওই ছাত্রী আবাসের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “ওই হস্টেল-সুপারের বিরুদ্ধে আমিও কিছু অভিযোগ শুনেছি। হস্টেলেই সুপার তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে কর্মাধ্যক্ষ মৌখিক ভাবে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই হস্টেল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের অধীনে। দফতরের বাঁকুড়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক স্বরূপ শিকদার বলেন, “ওই হস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং নিয়ম বর্হিভূত ভাবে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছিলাম। দু’বার শো-কজও করা হয়েছিল। এ দিনের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy