ব্লক অফিসের সামনে বাস থামুক বড়জোড়া ব্লকের প্রতিবন্ধীদের এটা দীর্ঘদিনের দাবি। সেই দাবি মেনে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর (আরটিও) থেকে বড়জোড়া ব্লক অফিসের সামনে লোকাল বাস থামানোর নির্দেশও দিয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু তার পরেও বাস থামে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বড়জোড়া ব্লক অফিসের সামনে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা ধর্নায় বসল বাঁকুড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি। যার জেরে ওই রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হল যান চলাচল। শেষে বিডিও-র কাছ থেকে বাস থামার আশ্বাস পেয়ে তারা ধর্না তুলে নেয়।
ওই সংগঠনের জেলা সভাপতি অজিত বীর বলেন, “বড়জোড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্লক অফিসের দূরত্ব কম নয়। ব্লক অফিসে আসা অন্য মানুষদের বড়জোড়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে অতটা পথ হাঁটতে কষ্ট তো হয়। তা হলে প্রতিবন্ধীদের কতটা কষ্ট হয়, ভাবা যায়! সবার পক্ষে রিকশা ভাড়া করে যাওয়া সম্ভবও নয়।” তাঁদের প্রশ্ন, একবছর আগে জেলা প্রশাসন সেখানে বাস দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেও বাস চালকরা গাড়ি থামাচ্ছেন না কেন? প্রশাসনই বা এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে না কেন? প্রতিবন্ধীদের ক্ষোভ, যাত্রী তোলার সময় যে কোনও জায়গায় হাত দেখালেই বাস থামিয়ে দেওয়া হয়। অথচ যাত্রীদের নামানোর বেলাতেই বাসকর্মীরা গাড়ি থামাতে চান না। প্রতিবন্ধী হলেও তাঁদের অসুবিধার কথা কেউ ভাবেন না বলেই তাঁদের আক্ষেপ।
এই সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বড়জোড়ার বিডিও ইস্তেয়াক আহমেদ খান বলেন, “প্রতিবন্ধীদের দাবি মেনে আরটিও দফতর বড়জোড়া ব্লক অফিসের সামনে সমস্ত লোকাল বাস থামাতে নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে ‘বাস স্টপ’ লেখা বোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ কোনও বাসই থামে না। এনিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। কিন্তু ফল হয়নি।” তিনি জানান, প্রতিবন্ধীদের দাবি যুক্তিযুক্ত। আবার নির্দেশ সত্ত্বেও বাস না থামিয়ে বাস কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের নিয়ম ভাঙছে। বাস সংগঠনগুলিকে তিনি ফের এ বিষয়ে সতর্ক করবেন বলে জানিয়েছেন। তাতেও কাজের কাজ না হলে বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক সমিতির এক কর্মকতা দাবি করেন, “বড়জোড়া বাসস্ট্যান্ড ও ব্লক অফিসের মধ্যে দূরত্ব খুব কম। অত ঘনঘন বাস থামালে আর্থিক ক্ষতি হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy