Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, অবরোধ কোতুলপুরে

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা গেলেন সাইকেল আরোহী এক প্রৌঢ়। গাড়ি না থামিয়ে গতি বাড়িয়ে চালক বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে কোতুলপুর থানার মির্জাপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানাতে দেহ আটকে রেখে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোতুলপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০১:১১
Share: Save:

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা গেলেন সাইকেল আরোহী এক প্রৌঢ়। গাড়ি না থামিয়ে গতি বাড়িয়ে চালক বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে কোতুলপুর থানার মির্জাপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানাতে দেহ আটকে রেখে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। মৃতের নাম প্রাণতোষ ঘটক (৫৯)। পেশায় রেল কর্মী ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর গ্রামেই। এক ঘণ্টা অবরোধে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তায় যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “ধাক্কা মারার পর ওই রাস্তার উপরেই জয়পুর থানার সলদা গ্রামে গাড়িটি ফেলে চালক পালিয়েছে। সম্ভবত চালক একাই ছিলেন।” তিনি জানান, গাড়িটি হুগলি জেলা পুলিশের বলে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন। যদিও হুগলি পুলিশের এক কর্তা দাবি করেছেন, “ওই গাড়িটি ভাড়ায় পুলিশ ব্যবহার করে। গাড়িটি মেরামতি করতে মালিক নিয়ে গিয়েছিল। কাজেই হুগলি জেলা পুলিশ ওই দুর্ঘটনায় সঙ্গে কোনও ভাবে দায়ী নয়।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইকেলে বাড়ি থেকে কোতুলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন প্রাণতোষবাবু। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কোতুলপুরের দিক থেকে আসা পুলিশের একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। কিন্তু ওই গাড়ি না থামিয়ে চালক দ্রুত গতিতে জয়পুরের দিকে চলে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রাণতোষবাবু। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, “এ কেমন পুলিশ? ধাক্কা খেয়ে লোকটি পড়ে গিয়ে আহত হল, না মারা গেল, তা না দেখেই পালিয়ে গেল?” চালক-সহ গাড়িটি আটক না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে জানিয়ে মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। ফলে রাস্তার দু’দিকেই আরামবাগ ও বিষ্ণুপুরগামী বাস, ট্রাক ও অন্য যানবাহন আটকে পড়ে। দুর্ভোগের শিকার হন বাসযাত্রীরা। খবর পেয়ে কোতুলপুর ও জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ কর্মীরা বাসিন্দাদের বুঝিয়ে দেহটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন। মৃতের বোন আলপনা চক্রবর্তী বলেন, “বয়সের কারণে দাদা খুব সাবধানে সাইকেল চালাতেন। পুলিশের গাড়িটি খুব জোরে ধাক্কা মারায় দাদাকে চলে যেতে হল। কিন্তু পুলিশের গাড়ির চালকের তো আরও সাবধানে চালানো উচিত ছিল। তা ছাড়া তারা গাড়ি থামিয়ে একবার দেখলও না, মানুষটা কী অবস্থা হল?” পুলিশের ওই গাড়ি চালকের ভূমিকায় হতবাক মৃতের পরিজনেরা। ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁরা সকলেই ওই গাড়ি চালকের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

police car kotulpur death hit and run case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE