দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ল। দাবি উঠল দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার। একই সঙ্গে সিপিএম পরিচালিত স্কুল পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ওই পোস্টারে। মঙ্গলবার সকালে হিড়বাঁধ হাইস্কুলের দেওয়ালে সাঁটা এই পোস্টারকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় অভিভাবক ও জনগণের নামাঙ্কিত এই পোস্টার কারা সাঁটিয়েছে তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ কাটেনি। প্রধানশিক্ষক সাধনচন্দ্র পাল দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ‘হিড়বাঁধ উচ্চবিদ্যালয়ের টাকার দুর্নীতির অভিযোগ (২০০০ থেকে ২০১৩) শীর্ষক ওই ছাপানো পোস্টারগুলি এ দিন স্কুলের গেটে, পাশের দেওয়ালে ও স্কুলের ভিতরে সাঁটা ছিল। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সিপিএম পরিচালিত ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে পোস্টারে এই ব্যবস্থাগ্রহণে প্রধানশিক্ষকের পাশে থাকার কথাও জানানো হয়েছে ওই পোস্টারে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, স্কুলে মোট চারটি ছাত্রাবাসে প্রায় ৩৫০ জন পড়ুয়া থাকে। ওই ছাত্রাবাসের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ অর্থ খরচে নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রাক্তন এক টিচার ইনচার্জের আমলে এ সব হয়েছে বলে অভিভাবকের একাংশের দাবি। প্রধানশিক্ষক সাধনচন্দ্র পাল অবশ্য তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “এ বার পুজোর আগে আমি স্কুলে যোগ দিয়েছি। এখনও ছাত্রাবাস এবং অর্থ সংক্রান্ত দায়িত্ব আমি নিইনি। তবে গত সোমবার স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক স্কুলে এসে কিছু অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।” স্কুলের পরিচালন কমিটি দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের দখলে। স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুবোধ গোপ দাবি করেন, “সরকারি নিয়ম মেনে আমরা স্বচ্ছ ভাবেই সব কাজ করছি। পরিচালন কমিটির কাজে কোনও দুর্নীতি নেই। কিছু মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচারের জন্য এমন পোস্টার সাঁটিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy