মিষ্টি খাইয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।—নিজস্ব চিত্র।
অনৈতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়া পরিষেবা মেলে না জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কার্যালয় থেকে। খোদ জেলা স্কুল পরিদর্শকই ওই অনৈতিক কাজে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হল শাসকদলের শিক্ষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে। বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সংগঠনের প্রায় ২৫০ শিক্ষক সদস্য সিউড়িতে ডিআই কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন। তাঁরা ডিআইকে অপসারণের দাবিও তোলেন।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়কের অভিযোগ, “জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে এখন টাকা পয়সা না দিলে কোনও পরিষেবা পান না শিক্ষকেরা। ন্যূনতম পরিষাবার জন্যও টাকা দিতে বাধ্য হন শিক্ষকেরা। এমনই চক্র চলছে ডিআই অফিসের মধ্যে। তার পুরোভাগে রয়েছেন খোদ ডিআই নিজেই। এমনকী যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে হায়ার স্কেল পাওয়ার জন্য টাকা ঢেলে কাজ আদায় করে নিয়েছেন জেলার কিছু শিক্ষক। অথচ সাধারণ কাজের জন্য সিউড়িতে এসে দিনের পর দিন হায়রান হতে হচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকদের, যাঁরা স্বচ্ছভাবে পরিষেবা পেতে চাইছেন। আমাদের হিসেবে গত কয়েক মাসে অনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ ২-৩ কোটি টাকা।” এ দিন তাঁরা মালা পরিয়ে ও মিষ্টি খাইয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে এত অভিযোগ থাকলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে একে পরিস্থিতি বদলানোর জন্য আলোচনা আশ্বাস দিয়েছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয়বাবু। একটি অভিযোগ বাক্সও কার্যালয়ে রেখে আসা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। যাতে সপ্তাহভর বিভিন্ন শিক্ষক ডিআই কার্যালয়ে এসে সমস্যায় পড়লে সে কথা লিখে ওই বাক্সে জমা দিয়ে যান। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসরফ আলি মির্ধা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে ওঁরা যখন অভিযোগ করছেন সেটা খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy