Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
কলেজ ছাড়লেন জেতা দুই ছাত্র

ছাত্র সংসদ হাতছাড়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তথ্য গোপন করে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য বাতিল হল তৃণমূল ছাত্রপরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। এর ফলে নতুন ছাত্র সংসদ বিরোধী জোটের পক্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বীরভূমের একমাত্র কলেজ যেখানে অধ্যক্ষের সদর্থক ভূমিকার জন্য ছাত্রসংসদ নির্বাচনে টিএমসিপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে এসএফআই এবং ছাত্রপরিষদ যৌথভাবে লড়াই করতে পেরেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৩
Share: Save:

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তথ্য গোপন করে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য বাতিল হল তৃণমূল ছাত্রপরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। এর ফলে নতুন ছাত্র সংসদ বিরোধী জোটের পক্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বীরভূমের একমাত্র কলেজ যেখানে অধ্যক্ষের সদর্থক ভূমিকার জন্য ছাত্রসংসদ নির্বাচনে টিএমসিপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে এসএফআই এবং ছাত্রপরিষদ যৌথভাবে লড়াই করতে পেরেছিল। সেই মল্লারপুর টুরকু হাঁসদা লেপসা হেমব্রম কলেজে টিএমসিপি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯টি আসনের মধ্যে ১০-৯ ফলাফলে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু কলেজে ছাত্র সংসদ গঠিত হওয়ার পর থেকে ছাত্র সংসদ নিয়ে এসএফআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে মল্লারপুর কলেজের ছাত্র সংসদ থেকে সাধারণ সম্পাদক এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইস্তফা, শুধু তাই নয় কলেজ থেকে তাঁদের নাম তুলে নেওয়ার জন্য ছাত্র সংসদ নিয়ে জটিলতা দেখা দিল। বর্তমানে ছাত্র সংসদ এসএফআই ও ছাত্র পরিষদ যৌথভাবে পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ অমিত চক্রবর্তী বলেন, “ছাত্র সংসদ গঠনের পর কলেজের কিছু পড়ুয়া ছাত্র সংসদের দু’জন প্রতিনিধির বিষয়ে দু’টি কলেজে ভর্তি থাকার অভিযোগ করেন। ওই দুই ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিকে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দু’জন ছাত্র প্রতিনিধি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজে তাদের অ্যাডমিশন এবং রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য লিখিত ভাবে আবেদন করে। এর ফলে কলেজ থেকে তাদের নাম বাতিল হয়ে যায়।” এই পরিস্থিতিতে পরিচালন কমিটি শুক্রবার বৈঠক করে কলেজের বর্তমান ছাত্র সংসদ খারিজ করে দেয় এবং এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সংসদ গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে পরিচালন কমিটি দায়িত্ব দিয়েছে। অন্য দিকে, এসএফআই সদস্য গোলাম নবি রাজা দাবি করেন, “কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের দু’জন ছাত্র যারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লড়াই করার জন্য তথ্য গোপন রেখেছিল। তারা স্থানীয় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। আমাদের কাছে সেই খবর ছিল। সে জন্য ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে ওই দুই ছাত্র সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই সময় আমরা অধ্যক্ষের কাছে ওই দুই ছাত্রের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়। পরে ওই দু’জন ছাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষর কাছে নিজেরা আবেদন করে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ার জন্য আবেদন করে। সেই ভিত্তিতে কলেজে ছাত্র সংসদে এখন ৯ জন। ওরা ৮ জন।” তাঁর দাবি, “বিএ প্রথম বর্ষের ওই দু’জন ছাত্র চলে যাওয়ার পর আমরাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে আছি। তাই আমরা মনে করি ছাত্র সংসদের আমাদের ১১ জন সদস্য এবং মল্লারপুর কলেজে টিএমসিপির হাত ছাড়া হয়েছে।”

এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছে টিএমসিপির দুই ছাত্র। তাঁদের এক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। বাতিল ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি তথা সাধারণ সম্পাদক শেখ রাসেদউল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সাংস্কৃতিক সম্পাদক অয়ন ঘোষ বলেন, “ভুল নম্বরে ফোন করেছেন। আমি অবশ্য মল্লারপুর কলেজের ছাত্র। আর কী হয়েছে পরে কথা বলব।” তবে টিএমসিপির ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক সভাপতি অভিজিত্‌ মণ্ডল বলেন, “ছাত্র সংসদের দু’জন ছাত্রের নামে মৌখিক অভিযোগ হয়েছিল শুনেছিলাম। পরে অধ্যক্ষকে লিখিত ভাবে প্রমাণপত্র নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। পরে কী হয়েছে জানা নেই। তবে আমাদের দু’জন ছাত্র এখনও কলেজেই পড়তে চাই বলে আবেদন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই আমরা চলব।”

অন্য বিষয়গুলি:

rampurhat tmcp college vote
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE