স্কুলের গেটের সামনে থই থই করছে নোংরা জল। প্রায় দিন সেই জল ডিঙিয়ে স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হয়নি। ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ বুধবার তাই স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন।
হিড়বাঁধ হাইস্কুলের ঘটনা। এ দিন সকাল ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে ওই স্কুলের গেটে তালা ঝোলানো থাকে। খবর পেয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক গিয়ে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরে তালা খোলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, হিড়বাঁধ হাইস্কুলের গেটের সামনে দীর্ঘদিন ধরেই নোংরা জল জমে থাকছে। ওই নোংরা জল পেরিয়েই পড়ুয়া থেকে সকলকে স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে। তাঁদের ক্ষোভের আরও কারণ রয়েছে। স্কুলের বেশ কয়েকটি ক্লাসঘর এখনও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ দিকে শ্রেণি কক্ষে বিদ্যুতের পরিষেবার হালও খারাপ। সর্বোপরি প্রতিদিন সব ক্লাস হচ্ছে না। এর ফলে পড়ুয়ারা বিপাকে পড়ছে। এমনই নানা অভিযোগে এ দিন অভিভাবকদের একাংশ জড়ো হয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ মহান্তি, জগন্নাথ পাইন-সহ অনেক অভিভাবকের ক্ষোভ, “স্কুলের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রায় দিনই পঞ্চম পিরিয়ডের পরে স্কুল ছুটি হয়ে যাচ্ছে। নোংরা জল স্কুলের গেটের সামনে জমে রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সবই দেখছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সব মিলিয়ে স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছে।” তাঁদের দাবি, স্কুলের সার্বিক উন্নয়নের জন্যই এ দিন বাধ্য হয়ে তাঁরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে জল নিকাশির সুষ্ঠু ব্যবস্থা না করা হলে আন্দোলন শুরু করবেন বলে তাঁর হুমকি দিয়েছেন। তবে স্কুলের গেটে তালা ঝুললেও ক্লাস যথারীতি হয়েছে। স্কুলের টিচার ইনচার্জ স্বরূপ মিস্ত্রি এ দিন আসেননি। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য অনিয়মিত ক্লাস হওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। তবে স্কুলের যে কিছু সমস্যা রয়েছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন। সুনীলবাবুর বক্তব্য, “স্কুল গেটের সামনে যে নোংরা জল জমা থাকছে তা পাশের একটি ছাত্রী নিবাস থেকে আসছে। স্কুলের সামনে নিকাশি নালা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি সকলেই জানেন।”
সিপিএম পরিচালিত হিড়বাঁধ হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুবোধ গোপ বলেন, “স্কুলের চারপাশে নিকাশি নালা তৈরির জন্য আমরা পঞ্চায়েতকে বলেছি। নিকাশি নালা হয়ে গেলেই নোংরা জল আর স্কুলের গেটের সামনে জমা হবে না। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করছি।” তবে হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের মণি কালিন্দী বলেছেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন দাবি জানিয়ে থাকলে আমরা বিবেচনা করে দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy