টেবিল আছে নিজের জায়গাতেই। উধাও কম্পিউটার। —নিজস্ব চিত্র
ফের স্কুলের ঢুকে কম্পিউটার চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। রবিবার গভীর রাতে সিউড়ি থানা এলাকার আড্ডা সত্যপ্রসন্ন পাবলিক হাইস্কুলের ঘটনা। চোরের দল ওই স্কুলের দরজার তালা ভেঙে মোট দশটি কম্পিউটার, একটি প্রোজেক্টর এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র চুরি করেছে।
সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই সিউড়ি থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক চন্দন ভট্টাচার্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মাসখানের মধ্যেই এর আগে ইলামবাজার ও বোলপুর এলাকাতেও দু’টি স্কুলে একই কায়দায় কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ দিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কম্পিউটারগুলি দ্রুত উদ্ধার না হলে স্কুলের প্রায় ৬০০ জন ছাত্রছাত্রীর কম্পিউটার শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বিভিন্ন কারণে স্কুলে চুরি হতে পারে। কোনও বিশেষ গ্যাং ওই ঘটনায় জড়িত কিনা, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
স্কুল সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের কম্পিউটার পশ্রিক্ষণের জন্য আইসিটি (ইনফর্মেশন কমিউনিকেশন টেকনোলজি) স্কিমে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে ২০১২ সালে ওই ১০টি কম্পিউটার সেট পায় স্কুল। সঙ্গে এক জন প্রশিক্ষকও। তখন থেকে পঞ্চম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ছ’শো পড়ুয়া সেখানে কম্পিউটারের বেসিক পাঠ নিচ্ছিল। পাশাপাশি ছিল পাঠ্য পুস্তকে থাকা বিষয়গুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক প্রচুর সিডি। সেগুলি প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়উয়াদের দেখানো হতো। পড়াশোনার এই ব্যবস্থা ওই স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণের বিষয় ছিল। সমস্ত কম্পিউটার সেটের পাশাপাশি প্রোজেক্টরটিও চুরি গিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক চন্দন ভট্টাচার্য জানান, বর্তমানে স্কুলে ছুটি চলছে। কিন্তু, স্কুল বিল্ডিংয়ে কাজ চলছে। এ দিন সকালে রাজমিস্ত্রিরা কাজে এসে দেখেন, স্কুলের দরজার তালা ভেঙে নীচে পড়ে রয়েছে। কিছু একটা ঘটেছে বুঝতে পেরে তাঁরাই স্কুলের এক কর্মীকে খবর দেন। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষকও। চন্দনবাবু বলেন, “দোতলার একটি ঘরে রাখা ছিল ১০টি সিপিইউ, ১০টি মনিটর, একটি প্রোজেক্টর, একটি ফ্যাক্স কাম প্রিন্টার। একাধিক তালা ভেঙে চোরেরা সবই নিয়ে গিয়েছে।” চন্দনবাবুর আক্ষেপ, “আমার স্কুলে এমন পড়ুয়ার সংখ্যাই বেশি, যাদের পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই ওই সব পড়ুয়ার অভিভাবকদের পক্ষে নিজের সন্তানদের বাইরে কোথাও কম্পিউটার শেখানো কার্যত দুষ্কর। স্কুলের এবং পড়ুয়াদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল!”
এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদাদের একাংশ জানান, বরিবার গভীর রাতে স্কুলের দরজায় একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, সেই গাড়িতে করেই যে স্কুলের সম্পত্তি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা কেউ-ই বুঝতে পারেননি। চুরির বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy