রজনী হাজরা। নিজস্ব চিত্র
শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে এক তরুণী বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রজনী হাজরা (২৬)। শান্তিনিকেতন থানার উত্তরনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় রজনীর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
পশ্চিম বর্ধমানের মায়াবাজার থানা এলাকার দুর্গাপুরের রজনীর সঙ্গে বছর আটেক আগে শান্তিনিকেতনের উত্তর নারায়ণপুরের প্রসেনজিৎ হাজরার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি মেয়েও আছে। প্রসেনজিৎ একটি হোটেলে নৈশ রক্ষীর কাজ করে। বিয়ের পর থেকেই রজনীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। যদিও ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা জানান, বিয়ের সময় যৌতুক নিয়েছিলেন বরপক্ষ। এদিকে মেয়ে জন্মানোয় রজনীর উপরে পাঁচ বছর আগে থেকে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। ঠিকমতো খেতে না দেওয়া, কথা শোনানো তো ছিলই মারধরও করা হত নিয়মিত এমনটাই দাবি রজনীর আত্মীয়দের। রজনীর বাবা রাজকুমার হাড়ি বলেন, ‘‘সপ্তাহ দুয়েক আগে বাপের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা আনার জন্য মেয়েকে চাপ দিতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কোনও রকমে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে জামাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠলেও ফের টাকা চাইতে থাকে। মেয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওর স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে।’’ রাজকুমারবাবুই এদিন লিখিত অভিযোগ করেন শান্তিনিকেতন থানায়। বৃহস্পতিবার রাতেই এক প্রতিবেশী ফোন করে রজনীর মৃত্যু সংবাদ দেন রাজকুমারবাবুকে। তিনি বলেন, ‘‘রাতেই আমরা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখি ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছে শুনলাম মেয়ে হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা গিয়েছে।’’
যদিও ছেলের মামা আশিস হাজরার দাবি, ‘‘খুনের অভিযোগ ঠিক না। বৃহস্পতিবার রাতে খাবারে নুন কম হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর ভাগ্নের স্ত্রী নিজেই ঘরের মধ্যে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy