বাঘের পায়ের ছাপ মিলল বাঁকুড়ার গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার জঙ্গলে আবার বাঘের আতঙ্ক। রবিবার ভোরে বারো মাইল জঙ্গলের রাস্তায় বাঘ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন সুতান গ্রামের এক বাসিন্দা। তাঁর দাবি, বাঘের সামনে পড়ে গিয়েছিলেন। ভয়ে বাইক ঘুরিয়ে তিনি রানিবাঁধের দিকে ফিরে যান। গ্রামবাসীরা তা জানার পরে বারো মাইল জঙ্গলের কাছে যান। সেখানে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের কর্মীরাও।
বারো মাইল জঙ্গলের এক দিকে ঝাড়গ্রামের কাঁকড়াঝোড় ও বেলপাহাড়ির জঙ্গল এবং অন্য দিকে পুরুলিয়ার কুইলাপালের জঙ্গল। বন দফতর মনে করছে, বারো মাইলের জঙ্গল থেকে বাঘটি যে কোনও সময়ে ঝাড়গ্রাম অথবা পুরুলিয়ায় প্রবেশ করতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ঝাড়খণ্ড থেকে জ়িনত (বাঘিনি) বাংলায় ঢোকার পর তার পিছু পিছু ওই বাঘটিও আসে। ঝাড়গ্রামের কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পার্শ্ববর্তী বারিকুলের বাগডুবির জঙ্গলে ঢোকে বাঘটি। শুক্রবার সকালে বাগডুবি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের রাস্তায় পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। শনিবার সকালে বাগডুবির জঙ্গল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সারেঙ্গা ব্লকের পড়্যাশোলের জঙ্গলেও বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়েরা। তবে এক দিন যেতে না যেতেই ওই বাঘই বাগডুবির জঙ্গল লাগোয়া বারো মাইলের জঙ্গলে ফিরে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার ভোরে রানিবাঁধ ব্লকের সুতান গ্রামের বাসিন্দা শুকলাল বেসরা বাইকে চড়ে রানিবাঁধ থেকে সুতানের দিকে যাচ্ছিলেন। বারো মাইল জঙ্গলের রাস্তার উপর একটি বাঘকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাইক ঘুরিয়ে তিনি রানিবাঁধের দিকে ফিরে যান। তাঁর কথায়, ‘‘গত দু’দিন ধরে শুনছিলাম বিভিন্ন জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। আজ ভোরে ছেলেকে বাইকে নিয়ে রানিবাঁধের দিকে যাচ্ছিলাম। ভোর ৪টা নাগাদ রানিবাঁধ থেকে সুতান গ্রামে ফেরার সময় বারো মাইলের জঙ্গলের ভিতর একটি সাঁকোর কাছে বাঘটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। আতঙ্কে আমি আবার রানিবাঁধের দিকে ফিরে যাই।’’
শুকলালের মুখে বাঘের কথা শোনার পর আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা দেখেন স্থানীয় একটি পাহাড়ি ঝোরার কাছে মাটিতে অসংখ্য পায়ের ছাপ রয়েছে। পরীক্ষা করে বন দফতর নিশ্চিত যে সেগুলো বাঘেরই পায়ের ছাপ। বারো মাইল জঙ্গলের কাছেই পুরুলিয়া জেলার কুইলাপাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ও কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল। বাঘটি জঙ্গলপথ ধরে যে কোনও জেলায় ঢুকে পড়তে পারে মনে করছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy