Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

মদের দোকান বন্ধের দাবিতে পথে মহিলারা

জাতীয় বা রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান নয়। অভিযোগ, সুপ্রিমকোর্টের এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই চলছিল চলছিল মদের দোকান।

নেশামুক্তির দাবিতে। নিজস্ব চিত্র

নেশামুক্তির দাবিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:১১
Share: Save:

জাতীয় বা রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান নয়। অভিযোগ, সুপ্রিমকোর্টের এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই চলছিল চলছিল মদের দোকান। এ বার সেই দোকান বন্ধের দাবিতে সরব হলেন স্থানীয় মহিলারাই। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের হেতমপুরে। স্থানীয় মহিলারা দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হয় পুলিশকে।

ঘটনা হল, হেতমপুরের ওই মদের দোকানটি অনুমোদনপ্রাপ্ত। তবে সেটি শুধু রাজ্য সড়কের ২০০ মিটারের মধ্যেই নয়, কাছাকাছি প্রাথমিক স্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। এমনিতেই আদালতের নির্দেশে ওই দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা ররমিয়ে চলছিল। বাসিন্দাদের দাবি, এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে সাংসারিক শান্তি। আশপাশের বাউড়ি, বাগদি ও হাজারা পাড়ার যে মহিলারা এ দিন দোকানটি বন্ধের দাবিতে সরব হন তাঁদের দাবি, মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বাড়ির পুরুষেরা। ছোট ছেলেরাও নেশা করছে। সংসারের টাকাপয়সা নষ্ট করছে, সঙ্গে নিত্য অশান্তি। অশান্তির মূল কারণ মদের দোকানটিকে হঠাতেই তাঁরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

জেলা আবগারি সুপার তপনকুমার রায় বলছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই দোকান চলছে। দ্রুত দোকানটি সরানোর ব্যবস্থা করছি।’’

মদের দোকানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের দিনেই সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতে কুখুডিহিগ্রামে হল মাদক বিরোধী মিছিল। বুধবার বিকালে ওই মাদক বিরোধী মিছিলে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সহযোগিতায় ছিল স্থানীয় ক্লাব ‘আনকমন’ ও পুলিশ। স্থানীয় চাঁদনি বিবি, আইনুল মোল্লা, সাথী খাতুন, মতিউরনিসা বিবিরা বলছেন, এই এলাকায় দেদার ব্রাউনসুগারের আমদানি রয়েছে। মারাত্মক এই নেশার কবলে পড়ছে যুব সমাজ। নেশাগ্রস্তদের পরিবার শেষ যাচ্ছে। যাতে এই এলাকায় ব্রাউনসুগার আসা বন্ধ হয়, প্রশাসন সেটা সুনিশ্চিত করুক। তাই মিছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Liquor Shop National Highway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE