বাড়ির সামনে নরসুন্দর। নিজস্ব চিত্র
মাটির ভগ্নপ্রায় বাড়ি। খড় আর টিনের ছাউনি কোনওক্রমে টিকে আছে। কয়েকটি জায়গা ত্রিপল দিয়ে ঢাকা। নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের এমনই বাড়িতে বাস করছেন বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠলেও কয়েক জনের টাকা আসেনি। আবার কয়েক জনের তালিকায় নামই ওঠেনি। গরমে কালবৈশাখী হলে বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত তাঁদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
শীতলগ্রামের বাসিন্দা বছর সত্তরের মঙ্গল নরসুন্দর বলেন, ‘‘মেয়ের বিয়ে দিয়ে হাতে এক টাকাও নেই। মাটির বাড়ি প্রায় ভেঙে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ঘরের আসবাব ও খাবার ভিজে যায়। আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য পঞ্চায়েত ও ব্লকে বহু বার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু, তালিকায় নামও উঠেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। কালবৈশাখীর ভয় রয়েছে। তার পরে বর্ষাকাল। বাড়ি টিকবে কি না জানি না। কষ্টে দিন কাটছে।’’ সুনীল মাল, অচিন্ত্য ভুঁইমালির মতো কয়েক জনের আবার আবাস যোজনার তালিকায় নামই ওঠেনি। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘অনেক সম্পন্ন পরিবার বাড়ি পেলেও আমরা বঞ্চিত থেকে গেলাম।’’
সমস্যা নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, ‘‘দুঃস্থ মানুষজন কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছেন না। যাঁরা কাটমানি দিতে পারেননি, তাঁদের আবাস যোজনায় বাড়ি মেলেনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ নিয়ে আমরা পথে নামব।’’
শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী মাল বলেন, ‘‘আবাস যোজনার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে অধিকাংশের বাড়ি হয়ে গিয়েছে। ৩৩ জনের সমস্যা রয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে। আর যে সমস্ত বাসিন্দার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। আবাস নিয়ে এই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও দুর্নীতি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy