প্রতীকী ছবি।
অত্যাবশকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ডাক কর্মীদের যাতায়াতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্তঃ জেলা সীমানায় মোতায়েন সিভিক ভালান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। বীরভূমের পাইকর থানার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ লাগোয়া মূর্শিদাবাদের চার শাখা-ডাকঘরের কর্মীদের। বুধবার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন ওই ডাককর্মীরা। ডাক বিভাগের কর্তারা জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সে কথা জানালে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশবাটি, রাতুরি, হিলোরা ও হাড়োয়া— এই চারটি শাখা ডাকঘর অবস্থানগতভাবে পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্ভূক্ত। তবে ওই চারটি ডাকঘর বীরভূমের পাইকর উপ-ডাকঘরের আওতায় পড়ে। প্রতিদিন মুর্শিদাবাদের ওই চারটি শাখা ডাকঘরের পিওনরা সীমানা পেরিয়ে বীরভূমের জাজিগ্রাম শাখা ডাকঘরে আসেন। অন্যদিকে পাইকর থেকে ডাক পিওন জাজিগ্রামে গিয়ে পৌঁছলে চিঠি, টাকাপয়সার আদান প্রদান সারা হয়। তারপর যে যাঁর এলাকায় ফিরে যান। সেটাই ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ডাক কর্মীরা জানাচ্ছেন, সীমানা সিল হয়ে যাওয়ার পর থেকে পাইকর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা দুটি জায়গায় পাহারায় রয়েছেন। বৃদ্ধাকালীমাতাথান এবং রাতুরি থেকে জাজিগ্রাম আসার রাস্তায়। অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের আটকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
বংশবাটি শাখা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার মহম্মদ ইব্রাহিম বীরভূমের নলহাটির কলিঠা গ্রামের বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদের ওই ডাক ঘরের কাজ ছাড়াও হাড়য়ো এবং হিলোড়া নামক দুটি শাখা ডাকঘরের মেল পিওনের কাজও সামলান ইব্রাহিম। তিনি বলছেন, ‘‘প্রতিদিনই ডাক পরিষেবা দিতে বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে যাতায়াত করতে হয়। গত কয়েকদিন ধরে সমস্যা সৃষ্টি করছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।’’ মুর্শিদাবাদের হাড়োয়া থাকে জাজিগ্রাম শাখা ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব রয়েছেন দেবব্রত সরকার। বুধবার সিভিকদের চাপে তাঁকে বৃদ্ধকালীমাতা থানের কাছে বাইক রেখে দু’আড়াই কিমি পথ হেঁটে ডাকঘরে আসতে হয়েছে বলে দাবি। রাতুরির শাখা ডাকঘরের অরুণকুমার সরকারও বলছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ থেকে রোজ বীরভূমে গিয়ে হেনস্থা হতে ভাল লাগছে না। আমরা যাতায়াত না করতে পারলে এই এলাকার চারটি ডাকঘরের উপর নির্ভরশীল ১৪ হাজার লোক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।’
বীরভূমের অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টাল সুপার উজ্জ্বল কুণ্ডু বলছেন, ‘‘যেটুকু খবর পয়েছি দু’জন মেল পিওনকে ফিরে যেতে হয়েছে বুধবার। তাহলে তো পরিষেবা চালুই রাখা যায় না। প্রথমে পাইকর থানায় মেল করে সমস্যা মেটানোর অনুরোধ করি। কোনও সাড়া না পেয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর)-কে জানাই। উনি সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’’ পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে সমস্যা। বিষয়টি নজরে এসেছে। ডাককর্মীদের ন্য পাস দেওয়া হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy