পরিদর্শন: কেন্দুলিতে ঝাড়খণ্ড সীমানায়। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। বন্ধ করা হয়েছে আন্তঃরাজ্য সীমানা। বীরভূম জেলার এক বড় তল্লাটের সঙ্গে পড়শি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা রয়েছে। সেই বিস্তীর্ণ সীমানা এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলছে অনেক দিন ধরেই। এ বার সীমানায় নাকা তল্লাশি পরিদর্শন করলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) ভরত লাল মীনা।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায় মোট ১২ জায়গায় নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পড়শি রাজ্য থেকে কোনও ব্যক্তি বা গাড়ি বীরভূমে ঢুকতে চাইলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েত হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নাকা চেকপোস্টে রয়েছে সিসিটিভি, ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা। এ ছাড়া তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, অস্থায়ী বাঙ্কার। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা মানুষদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আইজি প্রথমে সিউড়ি থানা এলাকার কেন্দুলি গ্রাম সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড সীমানা পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল-সহ পুলিশের কর্তারা। সেখানে আইজি প্রথমে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জেলা পুলিশের অস্থায়ী বাঙ্কার দেখেন। এর পর তিনি ঝাড়খণ্ডের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কী কী ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁদের কতক্ষণ করে এই নাকা তল্লাশি চলে, জানতে চান। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘আন্তঃরাজ্য সীমানায় নাকা চেকিং পরিদর্শন করছি। মূলত যে সমস্ত গাড়ির ছাড়পত্র আছে, সেগুলিকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে।’’ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বীরভূমের উপরে নির্ভর হতে হয়। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ছাড়া হচ্ছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে সরকারের যা নির্দেশ আছে, তা পালন করা হচ্ছে।’’
এর পরে আইজি যান মহম্মদবাজার থানা এলাকায়। সেখানে তিনি প্রথমে সেহেড়াকুড়ি থেকে রানিশ্বর যাওয়ার রাস্তায় ছাগলকুড়ি চেকপোস্টে যান। এর পরে রামপাড়া নাকা চেকপোস্ট এবং মুরালপুর নাকা চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy