ফাইল চিত্র
প্রাচীন বনেদি বাড়ির পুজো হাতছানি দেয় অনেককেই। কিন্তু যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না যাতায়াতের হ্যাপার কথা ভেবে। এ বার সমাধানে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে জেলার পাত্রসায়রের হদলনারায়ণপুর রাজবাড়ি ও বিষ্ণুপুরের মল্লরাজবাড়ির মৃন্ময়ী পুজো দেখতে বিশেষ বাসের বন্দোবস্ত করছে বাঁকুড়া পর্যটন বিভাগ।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর তিন দিন সকালে জেলাশাসকের দফতর চত্বর থেকে বাস ছাড়বে। বাঁকুড়া থেকে সরাসরি পাত্রসায়রের হদলনারায়ণপুর রাজবাড়িতে গিয়ে থামবে। ওই রাজবাড়িতেই দুপুরে প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাত্রীদের। মধ্যাহ্নভোজ সেরে বাস সরাসরি আসবে মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুরে। মৃন্ময়ীদেবীর পুজো দেখার পাশাপাশি ছিন্নমস্তা মন্দির সংলগ্ন পোড়ামাটির হাটে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের।
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, “পুজোর তিন দিন পোড়ামাটির হাটে নানা লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দিনগুলিতে হাটে দোকানপাটও যাতে বসে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা।” পোড়ামাটির হাটে অনুষ্ঠান দেখা বা কেনাকাটার ফাঁকে ইচ্ছে হলে যাত্রীরা ঘুরে দেখে নিতে পারেন বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলি।
সন্ধ্যায় টুকিটাকি খাবার ব্যবস্থাও করা হবে বাঁকুড়া পর্যটন বিভাগের তরফে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সীমা হালদার বলেন, “জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলি ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ।” প্রশাসনি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটিতে ২৫-৩০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া হবে না। যাত্রীপিছু টিকিটের দাম ৫০০ টাকা করে ধরা হয়েছে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার জেলাশাসকের দফতরেই টিকিট কাটার সুযোগ থাকছে।
ঘটনা হল, গত বছরই দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে জেলায় বাসে চড়ে পুজো পরিক্রমা করানোর উদ্যোগ হয়েছিল। তবে প্রত্যাশা মতো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে নিগমেরই কিছু আধিকারিক জানিয়েছিলেন। তখন প্রচারের অভাবের কথা উঠে এসেছিল। এ বছরও ওই উদ্যোগ হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের দুর্গাপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত ট্রাফিক ম্যানেজার অশোক চৌধুরী। তিনি বলেন, “গত বছরের মত এ বছরও বাঁকুড়া জেলায় পুজো পরিক্রমার জন্য বাস ছাড়া হবে। শীঘ্রই ডিপো থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।”
জেলা প্রশাসনের প্রাচীন পুজো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে। বাঁকুড়ার লালবাজারের বাসিন্দা বিপ্লব বরাট বলেন, “হদলনারায়ণপুরের রাজবাড়ি বিভিন্ন সময়ে গিয়েছি। তবে সেখানে পুজো দেখার সুযোগ এখনও হয়নি। প্রশাসন সেই সুযোগ করে দেওয়ায় আমরা খুশি। পাশাপাশি রাজবাড়ির প্রসাদ খাওয়াও বড় পাওনা হবে।’’ বাঁকুড়ার মিথিলা এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা রূপক মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত বছর দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রিয় পরিবহণ নিগমের বাসে চড়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়েছিলাম। এ বার প্রশাসনের উদ্যোগটিও খুব ভালো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy