ভয় বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি এবং বাঁধের ছাড়া জল। জলস্তর বাড়ছে বীরভূমের একাধিক নদীর। ময়ূরাক্ষী এবং অজয়, জেলার দু’টি প্রধান নদীরই জলস্তর এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় নদীর দুই পারের বাসিন্দারা।
বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৭,৫০০ কিউসেক জল। হিংলো ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৮,৩১৭ কিউসেক। ১৪,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের শিকাটিয়া ব্যারেজ থেকে। তার জেরেই ফুলেফেঁপে উঠছে ময়ূরাক্ষী এবং অজয়। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর সাঁইথিয়া ফেরিঘাট। জলমগ্ন নলহাটিতে ব্রাহ্মণী নদীর উপর দেবগ্রাম ঘাট। জলের তলায় বীরভূমের জয়দেব ফেরিঘাটও। পাশাপাশি, বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা ছোট ছোট নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে।
আরও পড়ুন:
-
বিজেপির নবান্ন অভিযানে এসি দেবজিৎকে মারধরে গ্রেফতার তিন, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ধৃত এক
-
‘সে দিন কোথায় ছিলি! আমি হারার পরে রিকাউন্টিং চেয়েছিস?’ প্রকাশ্যে সুফিয়ানকে প্রশ্ন মমতার
-
যন্ত্রণায় ছটফট করছেন মহিলা, ট্রেনেই সন্তান প্রসব করালেন ডাক্তারি পড়ুয়া
-
বাইক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি, মৃত এক, আহত ১০, ৩০ কিমি জুড়ে ৪৬ মিনিটের তাণ্ডব দেখল বিহার
বুধবার বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে দুবরাজপুর শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুরোনো বাড়ির অংশ। প্রায় ৮০ বছরের বাড়িটি দীর্ঘ দিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয় দুবরাজপুরে। তার জেরে বুধবার ভোরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটির একাংশ। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। এ নিয়ে দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “বাড়ির যে অংশটি ভেঙে পড়ছে তা সাফ করা হবে। বাকি বিপজ্জনক অংশটিও ভেঙে ফেলা হবে।’’