চালু হল বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। —নিজস্ব চিত্র
লকডাউনে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ফের চালু হল বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খণ্ড ও পূর্ব বর্ধমানের একাংশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। ৫৩০৪৮ নম্বর ডাউন বিশ্বভারতী ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ছাড়ে রামপুরহাট স্টেশন থেকে। আর ৫৩০৪৭ আপ বিশ্বভারতী ছাড়ে হাওড়া থেকে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে। বীরভূমের লাইফলাইন বিশ্বভারতীর এই ছিল রোজনামচা। এই ১৬ কামরার ট্রেন বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্রেনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
নভেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হয় বর্ধমান হাওড়া মেন ও কর্ড শাখায় লোকাল ট্রেন। সপ্তাহ খানেক আগে চালু হয় বর্ধমান, রামপুরহাট ও আসানসোল রেলপথে লোকাল ট্রেন। এ বার চালু হল বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। হাওড়া থেকে বর্ধমান এই ৯০ কিলোমিটার পথে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চুঁচুড়া, চন্দননগর ও ব্যান্ডেল স্টেশনে আপ ডাউনে থামে। রবিবার বা যে কোনও সরকারি ছুটির দিনে থামে মেমারি স্টেশনে। বর্ধমান থেকে রামপুরহাট ১০৬ কিলোমিটার রেলপথে বিশ্বভারতী সব স্টেশনেই থামে।
যাত্রী পরিবহণের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণেও বিশ্বভারতী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গুসকরার ব্যবসায়ী শ্যমল ঠাকুর বলেন, “৪০ বছর ধরে বিশ্বভারতীতে রোজ যাতায়াত করি। অনেক সুখ দুঃখের সাক্ষী এই ট্রেন। বড় মাল আসে ট্রান্সপোর্টে। আর বাকি ছোট জিনিসপত্র আমরা বিশ্বভারতীর লাগেজ ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে আসি।” রামপুরহাটের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অরিন্দম ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে বিকাশ ভবনে যেতে হয়। ভোরে বিশ্বভারতী ধরে ঠিক সময়ে পৌঁছে যাই। আবার রাতে ফিরে আসি।”
বর্ধমান-রামপুরহাট লুপলাইনের মধ্যে পড়ে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। বোলপুর শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠ। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন লুপলাইনের যাত্রীরা। খুশির হাওয়া যাত্রীদের মধ্যে। বিশ্বভারতীর পাশাপাশি এ দিন হাওড়া রামপুরহাট ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও চালু হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy