আটক রেজিস্ট্রার-সহ বাকি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। ফাইল চিত্র ।
ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। মঙ্গলবার ১৬ দিনে পা দিল বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন। এরই মধ্যে পদত্যাগ করলেন রেজিস্ট্রার আশীষ আগারওয়াল। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। লাগাতার আন্দোলনের জেরেই তিনি পদত্যাগ করলেন বলেই বিশ্বভারতী সূত্রে খবর।
একই সঙ্গে, সোমবার বিকেলে রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা বাংলাদেশ ভবনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা সেখানেই তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, তারপর থেকে বাংলাদেশ ভবনে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার-সহ বেশ কিছু অধ্যাপক। পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিশের বিরুদ্ধে করা আমরণ অনশন তাঁরা বন্ধ করেছেন বলে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন। তবে প্রয়োজনে তাঁরা আবার অনশনের পথে হাঁটতে পারেন বলেও তাঁদের মন্তব্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাকি দাবি-দাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ভবনের সামনে তাঁদের বিক্ষোভ সমাবেশ জারি থাকছে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি, বিশ্বভারতীর তরফে অফলাইনে পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হয়েছে। তার জেরেই তাঁদের এই আন্দোলন বলে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন। সোমবার পড়ুয়ারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যত ক্ষণ না এই নোটিশ প্রত্যাহার করছেন, তত ক্ষণ তাঁরা অনশন চালাবেন।
যদিও, ঘেরাও করে রাখার বিষয়টি মানতে অস্বীকার করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, রেজিস্ট্রার-সহ বাকি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা নিজেরাই ওখানে ‘স্ব-ইচ্ছায় আটকে’ আছেন। তাঁরা সেখান থেকে যেতে চাইলে অনায়াসে যেতে পারেন বলেও জানান বিক্ষোভরত ছাত্র রিজুন গড়াই।
প্রসঙ্গত, আন্দোলন শুরুর দিন থেকেই বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে ছাত্র-ছাত্রীরা চারদিন ঘেরাও করে রাখেন রেজিস্ট্রার আশীষকে। এরপরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy