মেলার মাঠের গেট নতুন করে করা শুরু হল সোমবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
এক মাস আগে জনরোষে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা মাঠের প্রবেশদ্বার। সেই প্রবেশদ্বার পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হল সোমবার।রবিবার কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত চার সদস্যের কমিটি মেলার মাঠ পরিদর্শনের পরে বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। সেখানেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, যে যে জায়গাগুলি গত ১৭ অগস্ট ভাঙচুর করা হয়েছিল, সেগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী শুক্রবার অথবা শনিবার কমিটির সদস্যরা আবার শান্তিনিকেতনে আসবেন। তার আগেই এই কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে পৌষমেলা মাঠেরনিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনকে।
বৈঠকের পরেই মেলার মাঠের ভেঙে ফেলা প্রবেশদ্বারের সামনে সর্বক্ষণের পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। বিশ্বভারতীও নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভাঙচুর হওয়া জায়গা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে। সোমবার সকালে দেখা গেল, ভেঙে ফেলা প্রবেশদ্বারটির পাশেই তৈরি হচ্ছে দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস। একটি বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কাজ তদারকির জন্য এবং অন্যটি পুলিশের তরফ থেকে সর্বক্ষণের নিরাপত্তার জন্য। ইট, বালি, পাথর, ঢালাই মেশিনও চলে এসেছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে এ দিন কাজ তদারকি
করতে আসেন নিরাপত্তা আধিকারিক গণেশ মালিক। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রবেশদ্বার তৈরির পরেও অন্তত এক মাস এই অঞ্চলে তারা সর্বক্ষণের নজরদারি বজায় রাখবে। ১৭ অগস্টের তাণ্ডবে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেলামাঠের অন্তত তিনটি দরজা। পে-লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হয় ভুবনডাঙা বাঁধ সংলগ্ন মাঠের প্রবেশদ্বার-সহ পাঁচিলের একাংশ। একইসঙ্গে মাঠের মধ্যের শৌচাগারের পাঁচিল-সহ দরজাটিও ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
এই পুনর্নির্মাণের কাজে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে চলেছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী শুক্রবার বা শনিবার দ্বিতীয় পরিদর্শনে এসে কমিটির সদস্যেরা কথা বলতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দা, আশ্রমিক ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ওই দিন তাঁরা রতনপল্লি ও পারিপার্শ্বিক এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে। কমিটির তরফ থেকে ব্যবসায়ী সমিতির চার জন প্রতিনিধি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। আশ্রমিকদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy