ফাইল চিত্র
করোনা অতিমারিতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। পর্যটন থেকে বছরে কোটি টাকার আয় হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু, অতিমারির কারণে লকডাউনের জেরে আয় কমেছে কেন্দ্রীয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির। গত বছরের মার্চ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একাধিক ক্যাম্পাস ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়াম। অতিমারির কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসবও।
গত বছরের ৯ মার্চ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় রবীন্দ্র ভবন, শান্তিনিকেতন গৃহ, বাংলাদেশ ভবন সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলিতে। এর মধ্যে রবীন্দ্র ভবন বিশ্বভারতীর প্রধান দর্শনীয় স্থান। এখান থেকেই বেশি আয় হয়ে থাকে। এখানে রবীন্দ্রনাথের ৫টি বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়াও বিচিত্রা বাড়ির দু'টি তলায় রয়েছে সংগ্রহশালা। যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কারের প্রতিকৃতি, পৃথিবীর নানা দেশ থেকে পাওয়া বিভিন্ন স্মারক ও কবির অন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা রয়েছে।
সাধারণত সোমবার থেকে শুক্রবার কম বেশি দৈনিক গড়ে আড়াই থেকে ৩ হাজার পর্যটক আসতেন রবীন্দ্র ভবনে। শনি এবং রবিবার এই সংখ্যাটি পৌঁছে যেত প্রায় ৫ হাজারে। অতিমারির আগে রবীন্দ্র ভবনে প্রবেশমূল্য ছিল-- বিদেশিদের জন্য ৩০০ টাকা, ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৫০ টাকা, ছাত্রদের জন্য ১০ টাকা। সোম থেকে শুক্র ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হত। শনি ও রবিবার তা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যেত। সব মিলিয়ে আয় ছিল বছরে কম বেশি ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়াও রবীন্দ্র ভবনের মিউজিয়ামের ভিতর একটি পুস্তক বিপণী রয়েছে। সেখানেও বই বিক্রি বাবদ দৈনিক আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ হাজার টাকা। সে সব এখন বন্ধ। সব মিলিয়ে বছরে বিশ্বভারতীয় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy