বিশ্বভারতীতে দ্রৌপদী মুর্মুর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। — ফাইল চিত্র।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বভারতী সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সফরকে মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের চিন্তা বাড়িয়েছে বিষধর সাপ। সে জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরের আধিকারিকদের। তলব পেয়ে বৃহস্পতিবারই বিশ্বভারতীতে হাজির বন দফতরের ‘স্নেক ক্যাচার টিম’।
আগামী ২৮ মার্চ বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সে জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে বিশ্বভারতী। তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে বুধবার শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে বৈঠকও হয় একটি। এর পর যে সব জায়গায় রাষ্ট্রপতি যেতে পারেন সম্ভাব্য সেই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন আধিকারিকেরা। বিনয় ভবনের হেলিপ্যাড, রবীন্দ্র ভবন, রবীন্দ্র অতিথিগৃহ ইত্যাদি জায়গাও পরিদর্শন করেন তাঁরা। রাস্তার দু’ধারে গাছের দুর্বল ডাল ছেঁটে ফেলার নির্দেশও দেন তাঁরা। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা বিষধর সাপ।
রবীন্দ্রভবনে বিষধর সাপের উপদ্রব দীর্ঘ দিন ধরেই। এ ছাড়া জঙ্গল ঘেরা লালবাঁধ, পম্পা হ্রদ এলাকাতেও বিষধর সাপের উপদ্রব রয়েছে। শ্যামলী, উদয়ন এবং কোনার্ক বাড়িগুলিও দীর্ঘ দিনের পুরনো। এই সমস্ত জায়গাগুলি ঠান্ডা এবং স্যাঁতসেঁতে। সাপের জন্য যা আদর্শ পরিবেশ। এই অবস্থায় সাপের উপদ্রব রুখতে ‘স্নেক ক্যাচার’ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘বুধবার আমি গিয়ে দেখেছিলাম উদয়নভবন, কলাভবন-সহ বেশ কিছু জায়গায় সাপ আছে। মূলত প্রচুর গাছপালা এবং জঙ্গল থাকার কারণে ওই সব এলাকায় সাপ রয়েছে। আজকেই একটি টিম বিশ্বভারতীতে যাবে। বিশ্বভারতীর প্রতিটি জায়গা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই টিম বৃহস্পতিবার থেকে রাষ্ট্রপতির সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে বিশ্বভারতীতেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy