প্রতীকী ছবি
পুরভোটের দামামা বেজেছে। প্রকাশ হয়েছে আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা। কপালে ভাঁজ পড়েছে বোলপুরের পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান দুই তৃণমূল নেতারই। কারণ এবার আসন সংরক্ষণের জেরে নিজেদের একাধিকবার জেতা ওয়ার্ড ছেড়ে দিতে হবে মহিলা প্রার্থীদের।
দু’জনেই তাই নিজেদের পছন্দের মহিলা প্রার্থী যাতে টিকিট পান সেদিকে খেয়াল রাখছেন। একই সঙ্গে কোন ওয়ার্ডে তাঁরা দাঁড়াবেন তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
প্রতিটি জেলার পুরসভাতে সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগেই। এলাকা পুনর্বিন্যাসের জটিলতার কারণে এতদিন পর্যন্ত বোলপুর পুরসভার সংরক্ষণ খসড়া তালিকার প্রকাশ আটকে ছিল। কিছুদিন ধরে পুর এলাকায় পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার বোলপুর পুরসভার সংরক্ষণ খসড়া তালিকা প্রকাশ হল। আগে বোলপুর পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ২০টি। এবার এই পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে হল ২২টি। এবারের তালিকা অনুযায়ী সংরক্ষণের ফলে অনেকেই নিজেদের ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন না। একাধিকবার যে ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান এবার সেই দু’টি ওয়ার্ডই হাতছাড়া হচ্ছে তাঁদের। শুধু পুরপ্রধান বা উপপুরপ্রধানই নয়, শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলর তাঁদের জেতা ওয়ার্ড থেকে এবার আর দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। বোলপুর পুরসভার সংরক্ষণের আওতায় ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে (৩ বার কংগ্রেস ২ বার তৃণমূল) থেকে নির্বাচিত বর্তমান পুরপ্রধান সুশান্ত ভকতের ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের ফলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা বোলপুর পুরসভার বর্তমান উপ পুরপ্রধান নরেশ বাউরিরও। এলাকা পুনর্বিন্যাসের কারণে তার জেতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। শুধু তাই নয় ওয়ার্ডটিকে মহিলা সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একইরকমভাবে সংরক্ষণের ধাক্কায় ১০ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। শুধু শাসক দলে নয়, বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলরও পড়েছেন সংরক্ষণের আওতায়। গতবার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত বিজেপি কাউন্সিলর বিকাশ মিশ্র এবার নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারণ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটিকে মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, ‘‘যে ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলাম এবার সংরক্ষণের তালিকায় পড়ে যাওয়ায় আর সেখান থেকে দাঁড়াতে পারব না। দল ঠিক করবে কোন ওয়ার্ডে আমাকে দাঁড় করাবে। তবে চাইব পুরনো ওয়ার্ডে আমাদের দলের যোগ্য মহিলা প্রার্থী যাতে নির্বাচিত হন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy