Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভাঙা গাছ মাথায় নিয়েই চলছে ক্লাস

বিষ্ণুপুর ব্লকের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের পিয়ারডোবা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরে মঙ্গলবার ওই বট গাছ ভেঙে পড়ে। কিন্তু সেই গাছ কেটে আর সরানো হয়নি।

ঝুঁকি: বটগাছের চাপা পিয়ারডোবা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

ঝুঁকি: বটগাছের চাপা পিয়ারডোবা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০৮:৪০
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরে ভেঙে পড়েছে বিশাল বটগাছ। আর সেই কেন্দ্রেই বিপজ্জনক ভাবে চলছে ছোটদের পড়াশোনা, খেলাধুলা।

বিষ্ণুপুর ব্লকের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের পিয়ারডোবা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরে মঙ্গলবার ওই বট গাছ ভেঙে পড়ে। কিন্তু সেই গাছ কেটে আর সরানো হয়নি। এ দিকে ওই কেন্দ্রের মধ্যে শিশুরা পড়াশোনা করায় আতঙ্কে রয়েছেন তাদের অভিভাবকেরা।

বৃহস্পতিবার পিয়ারডোবা গ্রামে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, রেল দফতরের জমিতে থাকা এক প্রাচীন বট গাছ শিকড় উপড়ে কাত হয়ে পরে আছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপরে। তার মধ্যেই চলছে কচিকাঁচাদের ছোটাছুটি আর পড়াশোনা।

ওই কেন্দ্রের কর্মী বিজয়া বসাক, ইন্দিরা চরণ জানান, প্রতিদিন এই কেন্দ্রে ৩০ জন ছাত্রছাত্রী, ১২ জন প্রসূতি এবং ১১ জন গর্ভবতী সুষম আহার নিতে আসেন। গত তিন দিন এ ভাবেই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলছে কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে শ্রীনাথ দাসের বাড়িও ভেঙে পড়েছে বটগাছের ডালপালার আঘাতে।

কিন্তু রেলের জায়গায় গাছটি থাকায় কেউ কাটার সাহস পাচ্ছেন না। বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের প্রধানকে এবং পিয়ারডোবা রেল স্টেশনে আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিতে আসা শিশু মেঘা মণ্ডলের ঠাকুমা কাজল মণ্ডল, রাহুল দে-র মা পাপিয়া দে, রোহন বসাকের মা নমিতা বসাক বলেন, ‘‘যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে। বাচ্চাগুলো থাকে বলে খুব চিন্তা হয়।’’ বিডিও (বিষ্ণুপুর) জয়িতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই রকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমাকে কেউ জানাননি। শীঘ্রই আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ পিয়ারডোবার স্টেশন মাস্টার তারক হালদারও দাবি করেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের তরফে কেউ আমাদের জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi center School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE