পুরসভা সূত্রের খবর, পুরপ্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, পুরসভার ছাদে কোনও ভাবেই ‘রাবণ দহন’ করা যাবে না। প্রতীকী চিত্র।
‘রাবণ দহন’-এর জন্য নিরাপদ জায়গা খুঁজে বার করতে বলা হয়েছিল পুজো কমিটিকে। সে জায়গা না মেলায় এ বার পুরুলিয়ার ঝালদা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির ‘রাবণ দহন’ হল না। গত ৪০ বছর ধরে একাদশীর দিন ওই অনুষ্ঠান হয়ে এসেছে ঝালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র ঝালদা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। আগে ওই অনুষ্ঠান হত পুরনো পুরভবনের ছাদে। ওই এলাকাতেই পরে নতুন পুরভবন গড়ে ওঠে। তার পর থেকে নতুন ভবনের ছাদেই হয়ে আসছিল ‘রাবণ দহন’।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কারণেই এ বার ওই জায়গায় ‘রাবণ দহন’-এর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ২৫-৩০ ফুট উচ্চতার ‘রাবণ’র মূর্তি পোড়ানো হত পুর ভবনের ছাদে, যা দেখতে ভিড় করতেন কয়েক হাজার মানুষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরপ্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, পুরসভার ছাদে কোনও ভাবেই ‘রাবণ দহন’ করা যাবে না। কারণ, তাতে বড় অঘটন ঘটে যেতে পারে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘ঝুঁকির কারণেই ওই জায়গায় এ বার রাবণ দহনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’ ঝালদা পুরভবনের ঠিক পাশেই গড়ে উঠেছে একটি বিপণি। ওই এলাকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক-সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভবন। রয়েছে পুরসভার বাজার। পুরভবনের গা ঘেঁষে গিয়েছে ‘হাই ভোল্টেজ’ বিদ্যুতের তার।
তৃণমূল পরিচালিত ঝালদা পুরসভার প্রধান প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘পুরসভার ছাদের উপরে ‘রাবণ দহন’ ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও শর্তসাপেক্ষে আমরা সেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতাম। কিন্তু এ বছর পুলিশ বারণ করায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। উদ্যোক্তাদের পৃথক জায়গা খুঁজে নিতে বলেছিলাম।’’ পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ পোদ্দার বলেন, ‘‘আমাদের অন্য জায়গা খুঁজে নিতে বলা হয়েছিল। আমরা তা করতে পারিনি। ফলে, এ বছর রাবণ দহন হয়নি। বিকল্প জায়গা খুঁজে আগামী বছর থেকে সেখানেই অনুষ্ঠান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy