—প্রতীকী চিত্র।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের এক মহিলা সদস্যকে টেলিফোনে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই আর এক জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। জয়পুর ব্লকের দুই জেলা পরিষদ সদস্যের কথপোকথনের অডিয়ো ক্লিপ (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য নীলাঞ্জনা পট্টনায়ক দাবি করেন, ‘‘এই কথপোকথন আমার সঙ্গে দলের আর এক জেলা পরিষদ সদস্য অর্জুন মাহাতোর। এ নিয়ে যা জানানোর দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ যদিও পুরুষ কণ্ঠটি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন অর্জুন মাহাতো। যদিও জেলা নেতৃত্ব ইতিমধ্যে তাঁকে ‘শো-কজ়’ করেছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ঘটনাটি এ দিনই শুনলাম। এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলের জেলা নেতৃত্বের গোচরে রয়েছে। দলই পদক্ষেপ করবে।’’
সহকর্মীর প্রতি অশ্লীল ভাষা প্রয়োগের নিন্দা করে জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জেলা পরিষদের শাসক দলের একাধিক মহিলা সদস্য। প্রতিবাদে সরব দলের একটা বড় অংশও।
ওই অডিয়ো ক্লিপে জয়পুর এলাকার কয়েকটি রাস্তার উদ্বোধনে দলের নেতৃত্বের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শোনা গিয়েছে এক মহিলা ও পুরুষ কণ্ঠের মধ্যে। এ নিয়ে বচসা গড়ায়। পুরুষ কণ্ঠকে নিজের নাম ‘অর্জুন’ বলতেও শোনা যায়। শেষের দিকে সেই পুরুষ কণ্ঠ দু’বার ওই মহিলার সম্পর্কে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। এমনকি তিনি পুরুষ হলে চাবকে লাল করে দিতেন বলেও পুরুষ কণ্ঠে মন্তব্য শোনা গিয়েছে।
বুধবার রাতে এই অডিয়ো ক্লিপ ছড়াতেই জেলায় শাসক দলের অন্দরে তোলপাড় পড়ে যায়। মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুমিতা সিংহ মল্ল বলেন, ‘‘ওই কথপোকথন দলেরই দুই সদস্যের। রাজনৈতিক কোনও বিষয় নিয়ে মতান্তর বা আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু একজন মহিলা সদস্যকে এ ভাবে নোংরা ভাষায় আক্রমণ মানা যায় না। অনেকেই আমার কাছে এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। ঘটনাটি দলকে জানিয়েছি।’’
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতোর নামও অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এ দিনই ঘটনাটি শুনেছি। কখনই এই ধরনের নোংরা কথাবার্তা সমর্থনযোগ্য নয়।’’
জেলা পরিষদের কোমেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একজন মহিলার প্রতি এমন ভাষা ব্যবহার কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এতে দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হচ্ছে। তাঁর আশা, দল বিষয়টি দ্রুত দেখবে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দল এই ধরনের ঘটনাকে কখনই সমর্থন করে না। অভিযোগ পাওয়ার পরে অর্জুন মাহাতো নামে ওই সদস্যকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy