প্রতীকী ছবি
প্রধান নির্বাচনের ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যদের যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলিয়াতোড়ের ছান্দার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এ দিন নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুভাষ পান নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিডিও (বড়জোড়া) পঙ্কজকুমার আচার্য। সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ছান্দার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সদানন্দ মানের। সোমবার নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছান্দার গ্রামপঞ্চায়েতটি তৃণমূলের হাতে এলেও বিরোধী দল সিপিএমের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ছিল মাত্র একটি আসনের। পঞ্চায়েতের এগারোটি আসনের মধ্যে ছ’টি তৃণমূল ও পাঁচটি সিপিএম পেয়েছিল। প্রধান হয়েছিলেন তৃণমূলের সদানন্দবাবু। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম ও তৃণমূলের পাঁচটি করে আসন দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচনে তৃণমূলকে জোর টক্কর দিতে তৈরি হয়েছিল সিপিএম শিবির। অভিযোগ, এ দিন সকাল থেকেই ছান্দার এলাকায় হাজার খানেক বহিরাগত জড়ো করে সিপিএম সদস্যদের পঞ্চায়েতেই ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল। বিডিও-র কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ছান্দার গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যেরা। ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা প্রশান্ত বাউরির কথায়, “পঞ্চায়েতে আসার পথে আমাদের সদস্যদের বাধা দেয় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে আমরা বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হই।” সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র কতটা বিপন্ন এ দিন ছান্দারের বাসিন্দারা তা সচক্ষে দেখলেন। প্রধান নির্বাচনে হার হবে আশঙ্কা করেই বহিরাগতদের নিয়ে সন্ত্রাস চালাল তৃণমূল।”
তবে এই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম সদস্যেরা নিজেরাই আসেননি। কেউ ওঁদের বাধা দেয়নি।” সিপিএমের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ও।
বিডিও (বড়জোড়া) পঙ্কজবাবু এই বিষয়ে বলেন, “ছান্দার পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যেরা অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। খতিয়ে দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy