রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। — ফাইল চিত্র।
সরকারি হাসপাতালে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামবাসীদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম মইনুল হক। তিনি এলাকায় ‘এমএম’ নামে পরিচিত। বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার দাদপুর গ্রামে। তাঁর দাবি, তিনি ওই হাসপাতালের দুই কর্মীকে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মীরা পরবর্তী সময়ে আর মইনুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। বিষয়টি জানিয়ে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক চাকরিপ্রার্থী।
বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকে আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়াস গ্রামের মোবারুল হক, হাসমতারা বেগমদের অভিযোগ, রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছেলেমেয়েদের চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় তিন বছর আগে টাকা নিয়েছেন মইনুল ওরফে এমএম। কিন্তু চাকরি করে দিতে পারেননি তিনি। টাকাও ফেরত দেননি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন না। এ দিকে চাকরি পাওয়ার আশায় সুদে টাকা ধার নিয়ে মইনুলকে টাকা দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এলাকার শতাধিক বেকারের কাছ থেকে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগের মুখে চাপে পড়ে দোষ কবুল করেছেন মইনুল। তাঁর পাল্টা সাফাই, রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মী সমীর মণ্ডল এবং সজল নামের দুই কর্মীকে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা নাকি এখন সদুত্তর দেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমি গ্রামের ২২ থেকে ২৫ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। তাঁদের কয়েক জনের টাকা ইতিমধ্যেই ফেরতও দিয়েছি। বাকিদের টাকাও ফেরত দিয়ে দেব।’’
এ দিকে তৃণমূল কর্মীর এ হেন ঘটনায় সরব হয়েছেন এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু মণ্ডল তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলকে। তিনি বলেন, ‘‘বড়দের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন মইনুল। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে তৃণমূলের বড় বড় নেতারা জেলে আছেন। বুথ স্তর থেকে একদম কালীঘাট পর্যন্ত তৃণমূলের এই টাকা তোলার নেটওয়ার্ক চলছে। সরকার এবং প্রশাসন সব জেনেও নীরব। তাদের কাজ হচ্ছে, মইনুলদের কাছ থেকে কাটমানি খাওয়া। আমরা চাই, মানুষ তার অধিকার ফিরে পাক। যাঁরা এই অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সাজা হোক। কিন্তু এই তৃণমূল সরকারের আমলে সেটাও সম্ভব নয় বলেই দেখতে পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy