তালড্যাংরায় তৃণমূলের দেওয়াল লিখন শুরু। দেওয়ালে দলের প্রতীক আঁকছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। — নিজস্ব চিত্র।
উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় প্রচারে নামল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালেই ওই বিধানসভা কেন্দ্রে দেওয়াল লিখন শুরু করলেন কর্মীরা। তবে প্রার্থীর নামের জায়গা খালি রেখে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কটাক্ষ, আরজি কর-কাণ্ডে জমি হারানোর ভয়েই তড়িঘড়ি ময়দানে নেমেছে তৃণমূল।
১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভা। ২০১৬ সাল থেকে এই বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে দল। সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এ বার সেই আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তালড্যাংরা আসন ধরে রাখার বিষয়ে তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী। তা বলে ঢিলেমি দিতে চাইছে না দল। লক্ষ্মীপুজো মিটতেই বৃহস্পতিবার থেকে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দল এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করায় আপাতত তাঁর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়ালে আঁকা হচ্ছে তৃণমূলের প্রতীক ঘাসফুল।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই আমরা মুখিয়ে ছিলাম প্রচারে নামার জন্য। বৃহস্পতিবার থেকে আমরা দলের হয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলাম। দলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলে প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার শুরু হবে। এই উপ নির্বাচনে আমরা জয়ের ব্যাপারে ২০০ শতাংশ নিশ্চিত।’’ দেওয়াল লিখনে বৃহস্পতিবার যোগ দেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা, তৃণমূল কর্মীরা বছরের ৩৬৫ দিন মানুষের জন্য কাজ করি। দলের কর্মসূচি আমাদের চলতেই থাকে। আমাদের দলের প্রার্থী যিনি হোন না কেন, তাঁর জন্য প্রত্যেক তৃণমূল কর্মী লড়াই করতে প্রস্তুত। আমরা নিশ্চিত আমাদের জয় হবেই।’’
প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে তৃণমূলের এই দেওয়াল লিখন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের পর এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী যখন পুজোর কার্নিভাল করছেন, সেই সময় দ্রোহের কার্নিভালে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। সেই ভিড়ই প্রমাণ করে দিয়েছে তৃণমূল আসলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিতান্ত বাধ্য হয়েই তড়িঘড়ি তাদের উপনির্বাচনের প্রচারে নামতে হয়েছে। কিন্তু তাতে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy