Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

মনোনয়নে অন্য ছবি, সাহায্যের হাত তৃণমূলের

বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রশান্ত সাধুকে প্রতিবন্ধী এক সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে সাহায্য করতে দেখা গেল।

TMC official helped CPIM candidate at Saithia

সিপিএম প্রার্থী সুকান্ত সাহা ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রশান্ত সাধু (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম)। বৃহস্পতিবার আমোদপুরে। নিজস্ব চিত্র kalyan.aligram@gmail.com

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাইথিয়া শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ০৭:৫৫
Share: Save:

মারধরের পাশে মিষ্টি আর সৌজন্য। একই দিনে দুই ছবিরই সাক্ষী রইল জেলা। এক দিকে, অধিকাংশ জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, সেখানেই উলটপুরাণ সাঁইথিয়া ও সিউড়িতে।

বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রশান্ত সাধুকে প্রতিবন্ধী এক সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে সাহায্য করতে দেখা গেল। আমোদপুর ছোটলাইন পাড়ার বাসিন্দা তথা সিপিএমের শাখা কমিটির সদস্য ওই প্রার্থীর নাম সুব্রত সাহা।

সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর আসনে সিপিএম প্রার্থী করেছে সুব্রতকে। বুধবার ব্লক অফিসে এসেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি তিনি। এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘বুধবার খুব ভিড় ছিল বলে প্রশান্তবাবু আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। আজ ফোন করে ডেকে মনোনয়নপত্র জমা করিয়ে দেন।’’ প্রশান্ত বলেন, ‘‘বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে সাহায্য করার নির্দেশ রয়েছে দলের। সেই নির্দেশই পালন করেছি। উনি প্রতিবন্ধী। কাল দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হবে বলে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিলাম।’’

সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ সর্বত্র বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। সেখানে এমনটা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।’’

অন্য দিকে, সিউড়ি ২ ব্লকের মনোনয়ন কেন্দ্রে এ দিন বিজেপি প্রার্থীদের মিষ্টিমুখ করান তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে আর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহার নেতৃত্বে প্রার্থীরা পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের ইন্দ্রগাছা মোড়ে আসেন। সেখান থেকে পুলিশি সহযোগিতায় সিউড়ি ২ ব্লক অফিসে যান। ব্লক অফিসে সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মির্জা জাকির হোসেন প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীকে গেরুয়া রঙের মিষ্টি খাওয়ান, সঙ্গে একটি করে ঠান্ডা পানীয়ের বোতলও দেন। বলেন, “আমাদের নামে অহেতুক বদনাম দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের মিষ্টি খাইয়ে প্রমাণিত হল, রটনা ভুল।”

উপস্থিত বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সাহা বলেন, “তৃণমূলের এই সৌহার্দ্য খুব ভাল লাগল। তবে এ দিনও আমাদের কিছু প্রার্থীকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ব্লকে পৌঁছতেই দেয়নি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy