শতাব্দী বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের যত জনের বাড়িতে আধার কার্ড আছে, সবার বাড়িতে ইডি গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই।’’ —ফাইল চিত্র।
বুধবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিশানা করলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ইডি এখন আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক হয়ে গিয়েছে।’’ বুধবার বীরভূমের রামপুরহাট সরকারি হাসপাতালে পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ। কৃষ্ণের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের যত জনের বাড়িতে আধার কার্ড আছে, সবার বাড়িতে ইডি গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই। কারণ, ইডি এখন আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক হয়ে গিয়েছে।’’ সিবিআই, ইডি-সহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি, ধারাবাহিক ভাবে এই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জনসভা থেকে অভিযোগ করেন ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাজে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই ভাবে বিরোধী স্বর দমিয়ে রাখতে চায় গেরুয়া শিবির। যদিও এমন অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তিনি দুর্নীতি ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে ইডিকে ধন্যবাদ জানান। কটাক্ষের সুরে বলেন, ইডির জন্যই বিরোধীরা একত্রিত হয়েছেন। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচার-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিভিন্ন মামলায় রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা, বিধায়কের নাম জড়াচ্ছে। কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন। কারও বাড়িতে হানা দিচ্ছেন সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। বুধবার কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি এবং আয়কর দফতর একযোগে হানা দিয়েছে। কৃষ্ণ খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক। তবে বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর একাধিক ব্যবসা রয়েছে। সেখানে বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে দাবি করে তদন্ত চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে টাকা লেনদেনের সূত্র ধরে এক সময় শতাব্দীও ইডি এবং সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। ইডি আধিকারিকদের দাবি ছিল, সারদা গোষ্ঠী থেকে শতাব্দী প্রায় ২৯ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওই টাকা তিনি সুদীপ্ত সেনের সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। পরে অবশ্য ওই টাকা ফিরিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy