তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই পুরুলিয়ার জন্য দুই দলীয় পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বার তৈরি করা হল জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি। মঙ্গলবার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর নেতৃত্বে ১৬ জনের কোর কমিটি ঘোষণা করলেন জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক।
জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক কে, তা নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। এ দিন দুই পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক ও শুভেন্দু অধিকারী এক সঙ্গে পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করে সেই বিভ্রান্তি দূর করতে কর্মীদের বার্তা দেন।
তারপরে কোর কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অঘোর হেমব্রম ও বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতোকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়াকে। তফসিলি উপজাতি শাখার দায়িত্বে আনা হয়েছে যথাক্রমে দুই বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন ও তফসিলি জাতি পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে। কোর কমিটিতে রয়েছেন উমাপদ বাউরি, রেবতীমোহন টুডু এবং দলের মহিলা, যুব, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সভানেত্রীরাও। আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম রায়, দিব্যজ্যোতিপ্রসাদ সিংহ দেও, নবেন্দু মাহালি, রথীন্দ্রনাথ মাহাতো ও তিন পুরপ্রধান।
মলয়বাবু বলেন, ‘‘কাজের সুবিধার্থে এই কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে।’’ খুব শীঘ্রই তিনি এই কমিটির সঙ্গে বসবেন বলেও জানান। শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘জেলা কমিটি থাকছে। কোর কমিটিও কাজ করবে।’’
লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দুকে জঙ্গলমহলের দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেন। শুভেন্দুবাবু বাঁকুড়ায় দফায় দফায় এলেও পুরুলিয়ায় এতদিন আসেননি। বরং মলয়কে পুরুলিয়ায় সংগঠন গোছাতে বারবার আসতে দেখা গিয়েছে। তাহলে দলের পর্যবেক্ষক কে, এই নিয়ে কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
বিভ্রান্তি কাটান নেত্রী স্বয়ং। দল সূত্রের খবর, মমতা কিছুদিন আগে জানান, দু’জনেই পুরুলিয়া জেলা দেখবেন। মলয় ঘনঘন পুরুলিয়ায় যাবেন। শুভেন্দুও মাঝে মধ্যে যাবেন। এ দিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মলয়বাবু ইতিমধ্যেই ছ’বার জেলায় এসেছেন। আমি মাসে একবার করে জেলায় আসব।’’
মাওবাদী নাশকতার সময় থেকেই যে তিনি এই জেলায় বারবার এসেছেন, সে কথাও শুভেন্দু এ দিন কর্মীদের মনে করিয়ে দেন।
শুভেন্দু দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভার মধ্যে এখনও তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ১৬৪টি কেন্দ্রে। পাঁচ বছর আগে আমরা ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। এ বার পেয়েছি ৪৩ শতাংশ। তাই গেল গেল রব তোলার কোনও কারণ নেই। বুক চিতিয়ে মাথা উঁচু করে লড়াই করুন। আমরা লড়তে জানি, মানুষের সঙ্গে থাকতে জানি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy