প্রতীকী ছবি।
শুধুমাত্র সর্বভারতীয় ও রাজ্যস্তরে মুখপত্র নিয়োগই যথেষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার কর্পোরেট ধাঁচে প্রতিটি জেলায় মুখপাত্র নিয়োগ করেছে তৃণমূল। প্রতিটি জেলায় কে মুখপাত্র হয়েছেন, তাঁর নাম পাঠানো হয়েছে জেলায়। নির্দেশ অনুযায়ী দলের জেলা সভাপতি , চেয়ারম্যান এবং কো-অর্ডিনেটরের বাইরে দল বিষয়ক বিবৃতি দেওয়ার অধিকার থাকছে নিযুক্ত মুখপাত্রেরই। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বীরভূমে শাসকদলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
কেন না বীরভূমে যাঁকে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই জামশেদ আলি খানকে নাকি জেলার শীর্ষনেতারাই চেনেন না! কী ভাবে, কার হয়ে তিনি বক্তব্য দেবেন—এই নিয়ে দলের অন্তরেই নানা প্রশ্ন ও অসন্তোষ রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়ে জেলার তরফে আপত্তিও জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক শীর্ষ নেতা বলছেন, ‘‘দলের নির্দেশে এ বার থেকে ছোটবড় মাঝারি মাপের সমস্ত নেতা মন্তব্য করবেন না, ঠিক আছে। কিন্তু, দলের হয়ে যিনি কথা বলবেন, তাঁকে তো জেলার নাড়ি নক্ষত্র জানতে হবে। যাঁকে দলের কেউ আগে থেকে চেনেন না, তিনি কী ভাবে দলের হয়ে কথা বলবেন! দলের অনেকেই কিন্তু এটা জানতে চাইছেন।’’
সব কিছু ঠিক থাকলে এক বছরের কম সময় রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের। বিভিন্ন সময় নিচুতলার কোনও নেতার বেঁফাস মন্তব্যের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন কোনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চাইছে না তৃণমূল। অনেক সময় অভিযুক্ত নেতারা সংবাদমাধ্যমের অপ্রিয় প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কারণেই পিকে-র পরামর্শে কর্পোরেট ধাঁচে জেলা স্তরে মুখপত্র নিয়োগের সিদ্ধান্ত। বীরভূম-সহ প্রত্যেক মুখপাত্রের যোগযোগ নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘নির্দেশ অনুযায়ী বীরভূমে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে আমি ও সাংসদ অসিত মাল ছাড়া আর কেউ কোনও বিবৃতি দিতে পারবেন না জানি। তবে মুখপাত্র নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নয়।’’
দলের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি, এমনকি বিধায়করাও বিবৃতি দেওয়ার অধিকারী নন। জেলা তৃণমূলের আপত্তি সেখানেই। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘শুনেছি বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করে
গিয়েছেন নবনিযুক্ত মুখপাত্র জামশেদ আলি খান। কিন্তু, এর বেশি কিছু ওঁর সম্পর্কে দলের কেউ জানেন না। বুথ, অঞ্চল, ব্লক বা বিধানসভা এলাকার কোথায় কী ঘটছে, সেটা তিনি জানবেন কী ভাবে। দলের সঙ্গেই বা কী করে যোগাযোগ রেখে চলবেন সেটা পুরোপুরি ধোঁয়াশায়।’’ আর এক নেতার বক্তব্য, ‘‘মুখপাত্রের ছবি দেখেছি। কিন্তু তাঁকে চিনতে পারিনি। এর আগে বীরভূমে দলের কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, জানা নেই। কোনও এলাকায় মানুষের
সুবিধা অসুবিধা সমস্যা, সেটা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় কাজ করা নেতা-কর্মীরাই বলতে পারেন। সেই তৃণমূল স্তরের কথা কী ভাবে মুখপাত্র বলবেন, সেটাই ভাবাচ্ছে।’’
এ প্রসঙ্গে পিকে-র দলের এক সদস্য যদিও বলেন, ‘‘সমন্বয় রেখেই সবটা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy