ঢ্যাঁরা পিটিয়ে বিষ্ণুপুর মেলার অনুষ্ঠানসূচি প্রকাশ। রবিবার বিষ্ণুপুরের রাধেশ্যাম মন্দিরে। নিজস্ব চিত্র
আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা ৩৬তম বিষ্ণুপুর মেলার নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। রবিবার বিষ্ণুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ কথা জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি। পুলিশ সুপার জানান, মেলা চত্বর ও মেলার বাইরের রাস্তায় কোথাও নিরাপত্তার খামতি থাকবে না। পুলিশের বরিষ্ঠ আধিকারিক ছাড়াও ৪২ জন অফিসার, ১০০ জন পুলিশকর্মী, ২৪ জন মহিলা পুলিশকর্মী ও ২৪৯ জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকছেন। অপরাধমূলক কাজকর্ম আটকাতে থাকছে চারটি ‘অ্যান্টি ক্রাইম মোটর সাইকেল পেট্রলিং’-এর ব্যবস্থা। চারটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এবং ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, ২ নম্বর রাজ্য সড়ক ও বিষ্ণুপুর-সোনামুখী সড়কপথে নজরদারিতে থাকছে পুলিশের চারটি টহলদারি গাড়ি। রাতে পাহারায় থাকছে তিনটি পদাতিক বাহিনী।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মেলায় ঢোকার আগে থাকছে সাতটি ‘ড্রপ গেট’, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ৩২টি পিকেট, দু’টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র ও আকাশপথে নজরদারির জন্য থাকবে বেশ কয়েকটি ড্রোন ক্যামেরা। সুপারের কথায়, “মেলায় আসা পর্যটকদের সঙ্গে মিশে থাকবেন শতাধিক সাদা পোশাকের পুলিশ। তিনটি ওয়াচ টাওয়ারে সার্চলাইট ও লেসার দিয়ে নজরদারি চালাবে পুলিশ। এ ছাড়া, মেলা জুড়ে থাকবে ৭০টি সিসি ক্যামেরা ও পাঁচটি অত্যাধুনিক ৩৬০ ডিগ্রি ঘূর্ণায়মান ক্যামেরা।” সম্মেলনে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায়, জেলাশাসক সিয়াদ এন, এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান, বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ, পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামী-সহ বিধায়কেরা।
এ দিকে, এ দিন ভোর থেকে শুরু হয়েছে বিষ্ণুপুর মেলার প্রচার। প্রতিটি ওয়ার্ডে মেলার বিজ্ঞাপনী জ্যাকেট গায়ে ঢোল বাজিয়ে প্রচার করছেন এক দল যুবক। সঙ্গে থাকছে বিষ্ণুপুর নিয়ে নানা শ্লোক। পরে বিকেলে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাটে মেলা ও উৎসব কমিটির তরফে শিল্পীদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠে যদুভট্ট মঞ্চ ও হাইস্কুলের হস্টেলের মাঠে হবে রামানন্দ মঞ্চ। কেজি কলেজের মাঠে বসবে খাবার দোকান, নাগরদোলা-সহ নানা দোকানপাট। প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে হাইস্কুলে ঢোকার আগে দুর্গাপুজা মণ্ডপের সামনে। কুটির শিল্পের ১৩৪টি, তাঁত ও বস্ত্রশিল্পের ৩০টি, বিভিন্ন ব্লকের ২২টি স্টল-সহ অন্য স্টলও থাকবে।
বিষ্ণুপুর মেলা ও উৎসব কমিটির সদস্য সচিব তথা মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “দু’দিনের জেলা সবলা মেলা-সহ সাত দিনের মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে প্রবীণদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে। নাটক, যাত্রা-সহ সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকছে বহিরাগত এক ঝাঁক শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশনা।” এ দিন পোড়ামাটির হাটের মঞ্চ থেকে প্রকাশ করা হল বিষ্ণুপুর থানার আধিকারিক অতনু সাঁতরার লেখা ও সঙ্গীতশিল্পী শিলাজিতের গাওয়া মেলার ‘থিম’ গান। প্রকাশিত হয়েছে মেলার ওয়েবসাইট ও লোগো-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy