লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক। নিজস্ব চিত্র
ট্রাক ধর্মঘটের জেরে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক, ট্রাক চালক ও খালাসি। মুরারই ও নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়েছে। মুরারইয়ের রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল ও নলহাটি বাহাদুরপুরের পাথর শিল্পাঞ্চল ট্রাক ইউনিয়ন রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া ট্রাক ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার ফলে। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁরা ঠিকা শ্রমিক। ট্রাক ধর্মঘটের ফলে পাথর শিল্পাঞ্চলেও কাজ থমকে গিয়েছে। খাদান ও ক্রাশার মালিকেরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। ফলে তাঁদের দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে এবার নুন ভাতও জুটবে না। অন্যদিকে, ট্রাক চালক ও খালসিদের অবস্থাও এক। ট্রাক ধর্মঘটের ফলে আনাজ ও বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বাড়ার সম্ভবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
পাথর খাদানের শ্রমিক নিলেশ টুডু বলেন, ‘‘কাল থেকে কোনও কাজ জোটেনি। সংসার কেমন করে চালাব জানি না। মুদিখানার দোকানদারেরাও জানিয়ে দিয়েছে ধারে চাল-ডাল, তেল-মসলা কিছু দিতে পারবে না।’’ ট্রাক মালিক লালু শেখ বলেন, ‘‘আমাদেরও রুটি-রুজির প্রশ্ন। আমার দশটি ট্রাক আছে। মুরারই রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে পাথর নিয়ে কলকাতা যায়। পথে ডি সি আর, বর্ধমান পার হয়ে এম ভি আই, আরটিও, পুলিশ ও ডাক পার্টির অত্যাচারে লাভ হচ্ছে না। ব্যাঙ্কে ঋণের টাকা জমা করতে পারছি না। সরকার ট্রাক মালিকদের কথা চিন্তা করে কোনও ব্যবস্থা নিলে আমরা ট্রাক রাস্তায় গাড়ি চালাবো।’’
মুরারই ট্রাক মালিক ইউনিয়নের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন, অন্য রাজ্যে ১২ চাকার ট্রাকে ৩৬ টন মাল বহন করার অনুমতি আছে। কিন্তু এই রাজ্যে ৩২ টনের বেশি মাল নিলেই পুলিশ বা পরিবহন দফতর ধরপাকড় করে। এর ফলে ট্রাক মালিকদেরই ক্ষতির বোঝা বইতে হয়। সিভিক পুলিশদের টাকার দাবি, এমভিআই এবং অলিখিত ডাক পার্টিদের টাকা তোলা আদায় বন্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা। থার্ড পার্টি বিমার জন্য প্রত্যেক বছর সারচার্জ বাড়ানো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দাবির কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সাফ কথা, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy