Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

লকডাউনেও চিন্তা বাড়াচ্ছে সকালের ভিড়

শনিবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের পর রবিবার থেকে জেলার ছ’টি পুরসভা এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

বোলপুের ভিড়ে ঠাসা রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

বোলপুের ভিড়ে ঠাসা রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর, মুরারই শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

পূর্ণ লকডাউনে ফাঁকা রাস্তাঘাট খানিকটা স্বস্তি দিয়েছিল প্রশাসনের কর্তাদের। তবে তার পরদিন, রবিবারই বাজারে দেখা গেল ভিড়ের ছবি। মাস্ক ছাড়াই দেখা গেল অনেককে। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, অনেকে যদি এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন হয় তা হলে

প্রশাসনের উদ্যোগ সত্ত্বেও সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কি করে?

শনিবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের পর রবিবার থেকে জেলার ছ’টি পুরসভা এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে বোলপুর শহরের বহু জায়গায় দেখা যায় নির্ধারিত সময় অতিক্রম করলেও লকডাউনের বিধি না মেনে দোকানপাট থেকে শুরু করে বাজারহাট খোলা রাখতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘‘এত কম সময়ে বিক্রিবাটা তেমন হচ্ছে না। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’’ প্রশাসনের তরফ থেকে ওই দোকান বাজার গুলি বন্ধ করানো হয়।

শুধু দোকানপাট খোলাই নয়, নির্ধারিত সময়ের পরেও বহু মানুষকে এ দিন রাস্তায় বের হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়লেও বাসিন্দাদের একাংশের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন লকডাউন শুরু হওয়ার আগে বোলপুরের দোকান-বাজারগুলিতে উপচে পড়া ভিড়ও দেখা যায়। দূরত্ববিধি তো দূরের কথা, এ দিন বাজারে অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত দেখা যায়নি।

বোলপুর পুরসভা এলাকায় আংশিক লকডাউন সফল করতে এ দিনও পথে নামতে দেখা যায় পুলিশ কর্তাদের। এ দিন শহরের চৌরাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, চিত্রা মোড়, শ্রীনিকেতন মোড়-সহ একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিবপ্রসাদ পাত্রের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে এ দিন পুলিশের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং করা হয়। যাঁরা অহেতুক বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তাঁদের আবার বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

মুরারইয়েও ছবিটা ছিল প্রায় এক। এলাকাবাসীরা জানান, লকডাউনের প্রচার শোনার পরও এ দিন বিভিন্ন বাজারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এর ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বাসিন্দারা যদি বাজারে ভিড় জমান তবে লকডাউন সফল হবে কী করে? সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত বাজারে যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

নলহাটির বাসিন্দা শুভদীপ দাস বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণের গতি রোধ করা যাবে। সেটা বাসিন্দাদের বুঝতে হবে। পুলিশ প্রশাসন মাস্ক ছাড়া বেরোলে ও লকডাউন ভাঙলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, কিন্তু আনাজ বাজারে যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে সেই বিষয়টি দেখলে বাসিন্দারা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাবেন।’’ নলহাটি পুরসভার পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘আনাজ বাজার নিয়ে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy