আপাতত পুলিশি
পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে অন্যতম অভিযুক্ত কলেবর সিংহকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। যদিও শুক্রবার পুলিশি ঘেরাটোপে পুলিশ ভ্যানে উঠতে উঠতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া কলেবর। তাঁর দাবি, খুনের দিন বাইকে তাঁরা দু’জন ছিলেন। কিন্তু পুরো ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েছেন তিনজন। পাশাপাশি, নরেন কান্দুও খুনের ঘটনায় জড়িত বলে দাবি তাঁর।
কলেবরের কথায়, ‘‘আমরা তো দু’জন ছিলাম। কিন্তু কাণ্ড তিন জনে করেছে। আমাকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে।’’ তাঁর সঙ্গে যে বাইক আরোহী ছিলেন তাঁর নাম কী? এ কথা কলেবরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘ওর নাম জয়ন্ত’। তপন কান্দু খুনের শুটার বাইক আরোহীকে সিবিআই চিহ্নিত করেছে। তার নাম জাবির আনসারি। তাঁর কথাই কলেবর বোঝাতে চাইলেন কি না সেটা তদন্তসাপেক্ষ।
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় আততায়ীর গুলিতে খুন হন ঝালদার নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে মোটর বাইকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। এই খুনের ঘটনায় ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হন কলেবর। তিনি টাকা নিয়ে এই খুন করেছিলেন বলে জানা যায় পুলিশি তদন্তে। অন্য দিকে, মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো তৃণমূল নেতা এবং তাঁর বাবার নাম জড়ায় এই খুনের মামলায়। পুলিশ একে পারিবারিক ঝামেলায় খুন বলে রিপোর্ট দিলেও তা মানতে নারাজ মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা। তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। এর পর চলতি মাসের ৪ এপ্রিল ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তে নেমে সত্যবান প্রামাণিক নামে এক ধাবা মালিককে প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিহত তপনের দাদা নরেন কান্দুর একটি হোটেল রয়েছে। সেই নরেনের ‘ছায়াসঙ্গী’ হিসাবে এলাকায় পরিচিত সত্যবান।
অন্য দিকে, ধৃত কলেবর দাবি করেছেন, মোট তিনজন এই খুনের ঘটনায় যুক্ত। কিন্তু নরেন কান্দু যুক্ত কি না, প্রশ্ন করলে তিনি এ ব্যাপারে জানেন না বলেই প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy