শুভেন্দু অধিকারী।—ফাইল চিত্র।
অন্য কোথাও নয়, তাঁরা দাদার সঙ্গেই থাকবেন—শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার পরে বৃহস্পতিবার এমনই জানাচ্ছেন পুরুলিয়ায় ‘দাদার অনুগামীরা’। ‘দাদা’-র সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতোরাও। তবে নভেম্বরের গোড়ায় পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে ‘দাদার অনুগামী’দের বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির থাকা কেউ কেউ অবশ্য এ দিন জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন।
ওই অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা প্রথম বার প্রকাশ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তার পরে ‘দাদার অনুগামী’দের কার্যালয়ও খোলে পুরুলিয়া শহরে। তার কয়েকদিন পরে, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়কে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করে দল।
শুভেন্দুর দল ছাড়ার খবর শুনে এ দিন গৌতমবাবু বলেন, ‘‘দাদার সঙ্গেই রয়েছি। এই অবস্থান থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই।’’ একই বক্তব্য তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা রঘুনাথপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের। সৃষ্টিধর মাহাতোও বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু তৃণমূল ছাড়লেন, আমিও ছাড়ব। ওঁর সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। তা অস্বীকার করতে পারব না।’’
পাশাপাশি, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুদীপ মাহাতোও বলেন, ‘‘মাওবাদী-সন্ত্রাসের সময়ে জঙ্গলমহলে যে ভাবে সামনে থেকে শুভেন্দুদা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কর্মীদের মনোবল জুগিয়েছিলেন, তা সামনে থেকে দেখেছি। আজ ওঁকে ছেড়ে যাব কেন। ওঁর সঙ্গেই রয়েছি।’’ পুরুলিয়া পুরসভার তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর রবিশঙ্কর দাসও শুভেন্দুর সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
তবে কিছুটা ভিন্ন সুর ‘দাদার অনুগামী’ হিসেবে পরিচিত জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতোর। তাঁর কথায়, ‘‘দাদা তৃণমূল ছেড়েছেন। কিন্তু এখনও স্পষ্ট করেননি, কোথায় যাবেন। আমরা এখনও মনে করি, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুভেন্দুদাকে দলে প্রয়োজন।’’ তাঁর অবস্থান কী হবে, জানতে চাওয়া হলে নিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলেই রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy