সুতপা ও সুকন্যা। নিজস্ব চিত্র
তাঁদের বন্ধুতা কতটা গভীর, তা বোঝা গিয়েছিল বুধবার রাতেই। বন্ধু সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর শুনেই দিল্লিতে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সদর দফতরে ছুটে এসেছিলেন তিনি। সুকন্যার জন্য জামা-কাপড় ব্যাগে ভরে এনেছিলেন সুতপা পাল। কিন্তু, বন্ধুর কাছে পৌঁছে নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি সুতপা। পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘‘সুকন্যার মা মারা গিয়েছে। ওর বাবা জেলে। এর পরে কী হবে! আর তো কিছুই রইল না!’’ বারবার বলে চলেন, ‘‘আমি ওর পাশে থাকতে চাই।’’
‘দুর্দিনে’ সুকন্যার পাশে সব সময় থেকেছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বন্ধু সুতপা। প্রথমে মায়ের মৃত্যু, তার পরে বাবা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারিতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সুকন্যা। নিচুপট্টির বাড়িতে কার্যত একা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সুকন্যার পাশে পাশে থেকেছেন সুতপা, তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকি নিজের বাড়িতে না থেকে, রাতের পর রাত বান্ধবীকে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। সব সময় নিজেরা নিজেদের সুখ দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন। আবার বান্ধবীর চিকিৎসার জন্য সাহায্য করেছেন সুকন্যাও। গরু পাচার মামলায় ইডির তলব এড়িয়ে সুতপাকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই নিয়ে যান সুকন্যা। এমনই তাঁদের বন্ধুতা।
বোলপুরের বাঁধগোড়া এলাকার বাসিন্দা সুতপা। মধ্যবিত্ত পরিবারের রয়েছেন বাবা, মা ও দাদা। ছেলেবেলা থেকে বোলপুর গার্লস হাই স্কুলে পড়ার সময়তেই সুকন্যার সুতপার খুব ভাব। সুকন্যার বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুতপা আসতেন। বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাঁধগোড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন সুতপা বলে প্রতিবেশীদের দাবি। কয়েক জন প্রতিবেশী এ দিন তাঁকে বাড়িতে দেখেছেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে অবশ্য সুতপার পরিবারের কেউ কথা বলতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা বলছেন, “সুকন্যার বাড়িতে সুতপার খুবই যাতায়াত ছিল। দু’জনে গভীর বন্ধু। তাই এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও সুকন্যা আর সুতপার বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy