মেঝেতেই পড়ে রোগী। নিজস্ব চিত্র
বোনাস-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতিতে শুক্রবার চরম দুর্ভোগে পড়লেন বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে ঝাঁট পড়েনি। পড়ে রয়েছে আবর্জনাও। নিরাপত্তা শিকেয় উঠেছে। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল বলেন, “কর্মীদের দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। তবে হাসপাতালে এ ভাবে কর্মবিরতি করতে পারেন না। পরিষেবা ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন ৯১ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাফাইকর্মী, নিরাপত্তা রক্ষী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে তাঁরা কাজ করেন। ওই ঠিকা সংস্থার তরফে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের ইনচার্জ বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। বোনাস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’’ তাঁদের আরও দাবি, এখনও ৪২ জন অস্থায়ী কর্মীর অভাব আছে। ছ’মাস ধরে সংস্থার কেউ বিষ্ণুপুরে আসেননি। ‘পে স্লিপ’ দেওয়া হয়নি কর্মীদের, বেতনও অনিশ্চিত। হাসপাতাল সুপারকে লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার সুব্রত রায় বলেন, “আমি স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েছি। কোনও ভাবে পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা চলছে।’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন ৪৩৩টি বেডে রোগী ছিলেন প্রায় ৫০০। অনেক ওয়ার্ডে মেঝেয় নোংরার পাশে তাঁরা রয়েছেন। মেল মেডিসিনে চার দিন ধরে ভর্তি পাত্রসায়রের কুশদ্বীপের শান্ত বাগদির স্ত্রী কৃষ্ণা বাগদি বলেন, “শুক্রবার সকাল থেকেই নোংরায় ভরেছে বেডের চারপাশ। শৌচাগারে যাওয়ার উপায় নেই।’’ বিষ্ণুপুরের বীরেশ্বর দাস পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বৃহস্পতিবার। তাঁর দাবি, ‘‘ইউএসজি করাতে গিয়ে শুনলাম কর্মবিরতি করেছেন। অগত্যা যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে।’’ হাসপাতাল সুপারের আশ্বাস, বহির্বিভাগ থেকে কিছু কর্মীকে প্রয়োজনে ইউএসজি করাতে পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy