ঝালদা পুরসভায় আবার নতুন চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। যদিও এই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে দাবি করেছে তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিজেদের দখলে রাখল কংগ্রেস। পুর চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৭-০ ভোটে জয়লাভ করে হাত শিবির। সোমবার কংগ্রেস চালিত পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর পর গত এক বছরে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে ঝালদা পুরসভা। দীর্ঘ দিন পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা চলছে। ১২ আসনের পুরসভায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ৫। তৃণমূলেরও ৫ কাউন্সিলর রয়েছেন। এ ছাড়া ২ নির্দল কাউন্সিলরের এক জন যোগ দেন কংগ্রেসে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন ছিল সোমবার। তাই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে উত্তেজনার পরিস্থিতি ঝালদায় ।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে পুরসভার ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে সোমবার নির্ধারিত সময়েই পুরসভায় দেখা যায় ২ নির্দল কাউন্সিলর-সহ ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলরকে। অন্য দিকে, তৃণমূলের কাউন্সিলরা পুরসভায় হাজির থাকলেও ভোটদানে অংশ নেননি। শেষ পর্যন্ত ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে আবার পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরেও কংগ্রেস পুরবোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু, তার আগেই আচমকা চেয়ারপার্সন নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, রাজ্যের পুর আইনের ১৭ (৪) ধারা অনুযায়ী এই নিযুক্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস।
বুধবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয় কান্দু বলেন, ‘‘আমরা ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ২ নির্দল কাউন্সিলর মিলে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসাবে ঠিক করলাম। শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর ভোট দেননি।’’
পুরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষে পুরসভা ভবনের বাইরে কংগ্রেস কাউন্সিলরদের স্লোগান দিতে শোনা যায় যে, ‘‘ঝালদা পুরসভা দখল করল কে? কংগ্রেস আবার কে?’’ নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে স্মরণ করেও স্লোগান দেন তারা। হাতে দেখা যায় তপনের ছবি।
যদিও এই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে দাবি করলেন তৃণমূলের বিদায়ী পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে সান্ধ্যভ্রমণে করতে বেরিয়ে খুন হয়েছিলেন সদ্যনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে পালায় আততায়ীরা। তার পর এই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। প্রথম দিকে এই খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশ সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy