হাতির দাঁত পাচারে অভিযুক্ত তিন জনকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
নলহাটি থেকে ধৃত হাতির দাঁত পাচারকারী তিন জনের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।ধৃতদের বৃহস্পতিবার রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সৈকত হাটি জানান, ভারপ্রাপ্ত বিচারক অন্বেষা চট্টোপাধ্যায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ধৃতদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর নলহাটি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে তিন জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি বস্তার মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি ৫৪ সেন্টিমিটার লম্বা ও আর একটি ৪৮ সেন্টিমিটার লম্বা দুটি হাতির দাঁত উদ্ধার করেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। বন দফতরের আধিকারিকেরা উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁত দু’টি বাজেয়াপ্ত করেছে ও যে গাড়িতে বস্তার মধ্যে হাতির দাঁত দুটি লুকিয়ে রাখা ছিল সেই গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে।
বন দফতরের তুম্বনি রেঞ্জের আধিকারিক সৌরীশ সাধু জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখার সঙ্গে রামপুরহাট ও মহম্মদবাজার রেঞ্জের বন দফতরের কর্মীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার আমড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সিকন্দার মুর্মু নামে এক গাড়ির চালক রয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে একজনের নাম শঙ্কর রায়। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার পাখুড়িয়া থানা এলাকায় বাড়ি শঙ্করের। অন্য একজন, রবিরঞ্জন সাহা ঝাড়খণ্ডেরই সাহেবগঞ্জ জেলার বারেট থানা এলাকার বাসিন্দা।
বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে হাতির দাঁত রাখার কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কোথা থেকে হাতির দাঁত দু’টি পাচারকারীরা সংগ্রহ করেছে এবং কী উদ্দেশ্যে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল সে ব্যপারে বন দফতর তদন্ত চালাচ্ছে। ধৃতেরা অন্য কোনও পাচার কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না বা এই পাচারে আর কেউ যুক্ত আছে কি না তা জানতে বন দফতরের আধিকারিকেরা তদন্ত চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy