বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর নন্দী।
করোনার নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নিয়ে। বিমানবন্দর ও জাহাজের বন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, করোনা নির্ণয়ে ‘আরটি-ল্যাম্প কিট’ ব্যবহারে সুবিধা মিলতে পারে বলে মনে করছেন ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর (আইসিএমআর) বিজ্ঞানীরা।
গত বছর আইসিএমআরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) মুম্বই ইউনিট এই ‘কিট’ তৈরি করে। এই ‘কিট’-এ পরীক্ষায় সময় ও খরচ, দু’টিই বাঁচবে বলে আইসিএমআরের টুইটে জানানো হয়। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় আইসিএমআরের এই আবিষ্কার আত্মনির্ভর ভারতের কাজের উদাহরণ দাবি করে টুইটও করেন। দেশের দু’টি প্রস্ততকারক সংস্থাকে এই ‘কিট’ বাজারে আনার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে আইসিএমআর। ওই দুই সংস্থাকে আগামী দু’সপ্তাহে কিট উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে বলে আইসিএমআর সূত্রের খবর।
আইসিএমআরের এনআইভি-র মুম্বই ইউনিটের সহ-অধিকর্তা শ্যামসুন্দর নন্দী জানান, এখন বিমানবন্দর বা জাহাজের বন্দরগুলিতে করোনা পরীক্ষায় ‘আরটি-পিসিআর’ এবং ‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে ফল জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চার থেকে ছ’ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সে জন্য যেখানে পরীক্ষার কাজ হচ্ছে, সেখানে ‘মিনি ল্যাবরেটরি’ তৈরি, বেশি সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন হচ্ছে। ‘আরটি-ল্যাম্প কিট’-এ মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার ফল জানা যাবে বলে জানান তিনি।
শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, ‘‘এই কিট তৈরিতে উপেন্দ্র লাম্বে, সোনালি সবন্ত, তৃপ্তি গোহিল ও জগদীশ দেশপাণ্ডে আমাকে সহায়তা করেছেন। এই কিটের সংবেদনশীলতা এবং নির্দিষ্ট ভাবে নির্ণয়ের ক্ষমতা একশো শতাংশ।’’ করোনার ‘ওমিক্রন’ প্রজাতি নির্ণয়ে এই ‘কিট’ কার্যকর হবে বলেও তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy