বীরভূম জেলা কমিটির বৈঠকে ফের দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডল ও শতাব্দী রায়কে। —নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা নির্বাচনের পর, দ্বিতীয়বার মুখোমুখি অনুব্রত-শতাব্দী। রবিবার বোলপুরে জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়কেও। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে রবিবার দুপুরে উপস্থিত হন সাংসদ। বিধানসভা ভোট মেটার পর, বীরভূম জেলা তৃণমূলে অনুব্রত এবং শতাব্দীর সম্মিলিত ভাবে উপস্থিত থেকে বৈঠকের ছবিটা এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ‘দ্বন্দ্ব’ ঘুচিয়ে দুই শিবিরই একজোট হয়ে চলার বার্তা দিচ্ছে।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর, প্রথম বার গত ২০ জুন দলীয় বৈঠকে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত এবং শতাব্দীকে। তার এক মাস গড়ানোর কিছুটা আগেই রবিবার ফের একবার বৈঠকে দু’জন। বৈঠক শেষে অনুব্রত বলেন, ‘‘পার্টির বৈঠক হল। সকলকে ডাকতে পারিনি। মোটামুটি একশো লোক ডেকে বৈঠক করলাম। জেলা কমিটির সদস্যরা ছিলেন। বিধানসভা অধিবেশন শেষ। বৈঠকে বিধায়করা ছিলেন।’’ অনুব্রতর ‘ডাক’ পেয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শতাব্দীও।
এর আগে বীরভূম জেলা তৃণমূলে অনুব্রত এবং শতাব্দীর দ্বন্দ্ব বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন। শেষবার লোকসভা নির্বাচনের আগে একসঙ্গে দু’জনকে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর তাঁরা একসঙ্গে কোনও কর্মসূচিতে রয়েছেন— এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। গত ২০ জুন বীরভূম জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে একসঙ্গে ছিলেন শতাব্দী এবং অনুব্রত।
রবিবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘শেষ হয়ে গেল ভারতবর্ষ। ডিজেল ১০০ টাকা পেরিয়ে গেল। পেট্রোলও ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই। মনে হয় আর জন্মে কিছু অন্যায় করেছিলাম! ২০২৪-এ ডোঙা উল্টে যাবে। মিথ্যাবাদী দল (বিজেপি)। তোমরা বলেছিলে, ‘এই দেব, ওই দেব’। কই? রামকেও তো দিচ্ছ না। ধনুক দেবে, তাও দিলে না। খঞ্জনী বাজিয়ে ছেড়ে দিলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy