বিভ্রাট: একই নাম। তিনটি কার্ড। অনন্যা পালের আধার। নিজস্ব চিত্র
এক মাসের শিশুর নামে এল তিনটি পৃথক আধার কার্ড! তাতে চিন্তায় শিশুটির বাবা-মা। নানুরের চারকলগ্রামের ঘটনা।
এমন কাণ্ডে আধার কার্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, একটি আধার কার্ড পেতেই অনেককে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। আবেদন করে হাতে কার্ড পাননি, এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। এমন পরিস্থিতিতে একরত্তি শিশুর বাড়ির ঠিকানায় তিনটি পৃথক নম্বরের আধার কার্ড পৌঁছনোয় তাঁরা বিস্মিত।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে তার বাবা বা মায়ের আঙুলের ছাপ ও চোখের রেটিনা স্ক্যান করে কার্ড দেওয়া হয়। বাবা ও মা পৃথক ভাবে কার্ডের আবেদন করলে শিশুটির দু’টি কার্ড হতে পারে। কিন্তু তিনটি কার্ড হওয়া সম্ভব নয়। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের চোখের রেটিনার ‘স্ক্যান’ এবং আঙুলের ছাপ নিয়ে আধার কার্ড তৈরি করা হয়। এক বার কারও তথ্য নথিভুক্ত হয়ে গেলে সফটওয়্যারের ‘নজরদারির’ জেরে দ্বিতীয় বার আর তা করা সম্ভব নয়।
চারকলগ্রামে এমন ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসছয়েক আগে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আধার কার্ড করাতে এসেছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেখানকার পড়ুয়া বছর চারেকের অন্যন্যার আধার কার্ড তৈরি করতে তার মা রূপা পালের রেটিনার ‘স্ক্যান’, হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। মাসদুয়েকে অন্য পড়ুয়ারা আধার কার্ড পেলেও অনন্যা ও তার কয়েক জন সহপাঠী কার্ড পায়নি। ফের সরকারি কর্মীরা গ্রামে গিয়ে ওই সব পড়ুয়ার পরিজনদের আঙুলের ছাপ নিয়ে যান। কিন্তু তার পরও কার্ড পায়নি অনন্যা। মেয়েকে নিয়ে নানুরের একটি আধার-কিয়স্কে যান রূপাদেবী। সেখানেও তাঁর আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। মাসখানেক পর তিনটি আধার কার্ড পৌঁছয় রূপাদেবীর বাড়িতে! মেয়ের নাম, ঠিকানা এক। কিন্তু তিনটি কার্ডের নম্বর পৃথক। নানুর ব্লকের বিডিও মৃণালকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আধার কার্ড তৈরির বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তবে লিখিত ভাবে আমাদের জানালে পদক্ষেপ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy