ছড়িয়েছে এই স্ক্রিনশট।
মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থীদের হয়ে কলেজের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘প্রচার’ করার অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ও এমএসভিপি তথা মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। সেই গ্রুপের স্ক্রিনশট হাতিয়ার করে বিরোধীদের অভিযোগ, দু’জনেই সরকারি পদের অবমাননা করেছেন। এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘‘আমি সরকারি পদের মর্যাদা জানি। এই পদে থেকে যে রাজনৈতিক দলের কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা যায় না তাও ভালভাবেই জানি। অনেকেই প্রার্থীদের নাম জানতে চেয়েছিলেন। সেটাই জানিয়েছি মাত্র।’’ অধ্যক্ষ করবী বড়াল বলেন, ‘‘আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। পরে এ ব্যাপারে কথা বলব।’’
রামপুরহাট মেডিক্যালে যাঁরা পড়ান সেই সব চিকিৎসক এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ সার্ভিসের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেটির নাম ‘আরপিএইচজিএমসিএইচ অফিসিয়াল’, অর্থাৎ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হসপিটাল অফিসিয়াল। সেই গ্রুপেই এমএসভিপি ও অধ্যক্ষ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে শাসক দলের তৃণমূলের পক্ষের প্রার্থীদের প্রচারের পোস্টার শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ। তাতে প্রার্থীদের নাম ও ছবি রয়েছে। সেই স্ক্রিনশট ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের চিকিৎসকদের সবক’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থীদের প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) তরফ থেকেও শাসক দলের প্রার্থীদের হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রচার করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকেরা দাবি করেছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই নির্বাচন হওয়ার কথা।
বিরোধীদের প্রশ্ন, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি পদে থেকে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে আবেদন করছেন তাঁরা? ওই স্ক্রিনশট কী ভাবে ছড়িয়ে গেল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের শোরগোল পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, চিকিৎসকদের মধ্যেই কেউ অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপির প্রচারের বিষয়টি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছেন।
বেশিরভাগ চিকিৎসকেরা বিষয়টি মুখ খুলতে চাননি। চিকিৎসকদের একাংশ বলেন, ‘‘মেসেজ পেয়েছি। কিন্তু ব্যালট পাইনি। বাড়িতেও খোঁজ নিয়ে জেনেছি ব্যালট পৌঁছয়নি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, ‘‘বাম আমলেও ব্যালট নিজেদের কব্জায় রেখে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। এই আমলেও তাই হবে এ নতুন কী?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy