রাজ্য সড়ক ঘিরে কখনও হাঁটাহাঁটি, কখনও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে হাতিটি। —নিজস্ব চিত্র।
আবার খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এল হাতি। রাজ্য সড়কের মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল প্রায় ৪০ মিনিট। বাঁকুড়ার বিক্রমপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়বেতা যাতায়াতের রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মাস দুই আগে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা রেঞ্জের বনাঞ্চলে থাকা একটি হাতি রাস্তায় এসে সব্জি বহনকারী গাড়িতে ‘লুট’ চালিয়েছিল। পরে সেটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে সে। তার ‘তোলাবাজি’তে ভীত হয়ে পড়েন পথচলতি মানুষজন। খাবারের জন্য হাতিটির এই অভ্যাস বদলাতে রীতিমতো নাকাল হতে হয় বন দফতরকে। মাস দুই আগের সেই ‘স্মৃতি’ ফিরল মঙ্গলবার। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সকাল সকাল পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে হঠাৎই বিক্রমপুর-গড়বেতা রাজ্য সড়কে হাজির হয় হাতিটি। রাস্তা ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে সে। এই ভাবে প্রায় ৪০ মিনিট কখনও রাস্তার মাঝখানে, কখনও রাস্তা ধরে সোজা পায়চারি করতে থাকে। হাতির আতঙ্কে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। পথচারীরাও ভয়ে আর এগোননি। অনেকে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপেক্ষা করতে থাকেন, কখন নিজে থেকে রাস্তা ছাড়বে হাতিটি। এর মাঝেই দু-এক জন পথচারী সব্জি ব্যবসায়ী রাস্তার উপর সব্জি ছুড়ে দেন। সেই সব সব্জি নাগাড়ে নিঃশেষ করে দুলকি চালে হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়।
এ নিয়ে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘বুনো হাতিকে খাবার দেওয়া বেআইনি কাজ। আমরা বার বার সে কথা এলাকায় প্রচারও করেছি। তার পরেও এই এলাকার অত্যুৎসাহী কয়েক জন এ ভাবে হাতিকে খাবার খেতে দেন। এর ফলে এদের অভ্যাস বদলে যায়। তখন এমন ঘটনা ঘটে। খাবারের লোভেই হাতিটি বার বার ওই একই রাস্তায় ফিরে আসছে।’’ তিনি জানান, হাতিটির গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy