প্রতীকী ছবি।
কারও প্রিয়জন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। কেউবা নিকট আত্মীয়ের অস্ত্রোপচারের সময় প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত জোগাড় করতে হিমসিম খেয়েছেন। নিজেদের সেই অভিজ্ঞতা থেকে রক্তদানের গুরুত্ব বুঝতে করেছিলেন। শিবিরের খবর পেয়ে নিজেরাই রক্ত দিতে হাজির হলেন তাঁরা। মঙ্গলবার আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের সহযোগিতায় স্কুলচত্বরে ওই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন প্রাক্তনীরা।
ওই শিবিরে রক্ত দেন স্থানীয় জয়দেব মুখোপাধ্যায়, বাপ্পাদিত্য ঘোষরা। জয়দেববাবুর ভাগ্নে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সৌমেন ঠাকুর থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। বাপ্পাদিত্যবাবুর ভাগ্নে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ সুরজও একই রোগে আক্রান্ত।
রক্ত দেওয়ার পরে জয়দেববাবুরা বলেন, ‘‘ভাগ্নেদের প্রতিমাসে রক্ত লাগে। সেই রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে বুঝেছি রক্তের গুরুত্ব। তাই শিবিরের খবর পেয়ে সব কাজ ফেলে রক্ত দিতে হাজির হয়েছি।’’
একই বক্তব্য প্রতিভা সেন এবং পাপড়ি বর্মণেরও। তাঁরা জানান, হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে রক্তের জন্য তাঁদেরও অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অন্য কাউকে যাতে সেই সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্যই রক্তদান শিবিরে আসার ব্যাপারে দু’বার ভাবেননি। অন্যতম উদ্যোক্তা স্মরণজিৎ দে এবং অতনু বর্মণ জানান, শিবির ৮৫ জন রক্তদান করেছেন। অনেকেই থ্যালেসেমিয়া আক্রান্তের পরিজন। নিজের তাগিদেই রক্ত দিতে আসেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং সহকারী শিক্ষক প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘প্রাক্তনীদের উদ্যোগে স্কুল গর্বিত। পরেও এই কাজে প্রাক্তনীদের উৎসাহিত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy