লমগ্ন: বৃষ্টির পরে রামপুরহাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা। মঙ্গলবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
শহরের নিকাশি সমস্যায় লোটাস প্রেস মোড়ের গলিতে যন্ত্র চালিত পাম্পসেট বসানোর ফলে এলাকার জল জমার দুর্দশা দূর হবে দাবি করেছিলেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন। আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুর প্রশাসনের সেই দাবি নস্যাৎ করে নিকাশি নালা ছাপিয়ে জল ঢুকল বাসিন্দাদের ঘরে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে আধঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের নিকাশি সমস্যার ত্রুটি একদিনের নয়। দীর্ঘদিনের ত্রুটিতে স্বল্প বৃষ্টিতেই রামপুরহাট শহরের বেশ কিছু এলাকার প্রধান প্রধান রাস্তা জলে ডুবে যায়। জল ঢুকে যায় বাড়িতে। মঙ্গলবার সে ভাবেই শহরের ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া কামারপট্টি মোড় থেকে ভাঁড়শালামোড় যাওয়ার প্রধান রাস্তা থেকে, জাতীয় সড়কের ধারে লোটাস প্রেস মোড়ের গলির রাস্তা জলে ডুবে যায়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭০ থেকে ৮০টি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। বাড়িতে ঢুকে পড়া জল বালতিতে করে তুলে বাসিন্দাদের তুলে ফেলতে হয়। রাতের দিকে ভারী বৃষ্টি হলে শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ড জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন বাসিন্দারা।
শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটির অভিযোগে শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লোটাস প্রেস মোড়, কামারপট্টি মোড়ের বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ থেকে একাধিকবার পুরসভার কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিললেও সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। অন্যদিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এলাকার নিকাশি নালা সংস্কার এবং নিকাশি নালায় জমে থাকা ময়লা নিয়মিত সাফাই এর অভাবে প্রতি বছর বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়।
তৃণমূলের ১১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি উজ্জ্বল ধীবর বলেন, ‘‘১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে শহরের ১০ ১১, ১২, ১৩ চারটি ওয়ার্ডের জল নিকাশির ব্যবস্থা করা আছে। অথচ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়ি জায়গা ছেড়ে করা হয়নি। এর ফলে নিকাশি নালার জঞ্জাল তুলে ফেলে রেখে দেওয়ার মতো জায়গা নেই। এর ফলে নিকাশি নালার জঞ্জাল নালাতেই থেকে যায়।’’ নতুন করে যে নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে তাও ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশায় পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘নিকাশির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা দেখানো হচ্ছে, অথচ নিকাশির বেহাল দশায় শহরের বাসিন্দা জলবন্দি। এই তো উন্নয়নের চিত্র!’’ রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন মীনাক্ষি ভকত বলেন, ‘‘লোটাস প্রেস মোড়, কামারপট্টি মোড় এলাকার জল নিকাশি সমস্যা অত্যাধুনিক পাম্প সেট বসানো হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি সমস্যা দূর করার চেষ্টা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy